ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় রাতের আঁধারে দুটি মন্দিরের তালা ভেঙে প্রতিমা বাইরে এনে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (৫ জুন) দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের জান্দী গ্রামের সর্বজনীন দুর্গা মন্দির এবং মিত্রবাড়ি পারিবারিক মন্দিরের তালা ভেঙে প্রতিমায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে রাতেই ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
স্থানীয়রা জানান, মন্দির দুটি অর্ধশত বছরের পুরনো।
এলাকাবাসীর ও মন্দির কমিটি জানায়, রবিবার রাতে তালা ভেঙে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে ভাঙ্গার হামিরদী ইউনিয়নের বড় হামিরদী গ্রামের সড়কে মিত্রবাড়ি মন্দিরের কালী প্রতিমা ও দুর্গা মন্দিরের সরস্বতী প্রতিমা ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা। এ সময় প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়।
বড় হামিরদী গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী মনির হোসেন বলেন, “রাতে সড়কের ওপর হঠাৎ আগুন জ্বলতে দেখে এলাকাবাসী চিৎকার দেয়। এ সময় দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবসী আগুন নিভিয়ে ভাঙ্গা থানায় খবর দেয়।”
জান্দী গ্রামের সর্বজনীন দুর্গা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোজ কুমার দাস বলেন, “মন্দিরের তালা ভেঙে প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি আমরা জানতাম না। রাত দুইটার দিকে পুলিশ এসে আমাদেরকে জানানোর পর মন্দিরে গিয়ে দেখি শিব, রামকৃষ্ণ ও সরস্বতী প্রতিমা নেই। পাশাপাশি মিত্র বাড়ি মন্দিরের কালী প্রতিমা নেই।”
মিত্রবাড়ি মন্দির কমিটির মৃণাল মিত্র বলেন, “আমাদের এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চমৎকার। এলাকার মুসলিমরা পূজার সময় আমাদের বাড়িতে আসেন আমরাও ঈদের দিন তাদের বাড়িতে যাই। দেশে অস্থতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, “রাতে খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে তাদের প্রতি আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী বলেন, “মন্দির দুটির তালা ভেঙে প্রতিমাগুলো নিয়ে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে ও একটি প্রতিমায় আগুন দিয়েছে। পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত করে দোষীদের শনাক্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।”