চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। ফায়ার সার্ভিস বলেছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তাদের পাঁজন কর্মী আছেন।
রবিবার (৫ জুন) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রয়েছেন।
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল থেকে বলেন, “বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ও আহতদের নগরের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাই সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিসের হিসাব অনুযায়ী দুই শতাধিক মানুষ আহত ও দগ্ধ হয়েছেন।”
এদিকে সকালে ছয়জনের লাশ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। লাশগুলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। লাশগুলোর মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- ডিপোর আইসিটি কাউন্টারে কর্তব্যরত মবিনুল হক, মহিউদ্দিন (২৪) ও হাবিবুর রহমান (২৩)। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচজন কর্মীও রয়েছেন।
সিএমসিএইচ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আলাউদ্দিন তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, “১০০ জনের বেশি আহতকে ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স ও গাড়িতে করে চমেকে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫০ জনকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।”
ডিপোর পরিচালক মুজিবুর রহমান বলেন, “কি কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কন্টেইনার থেকেই আগুন ধরেছে বলে ধারনা করছি।”
নৈতিকতা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে হতাহতদের পাশে থাকবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আহতরা যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পায় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার আমরা বহন করবো। এ দুর্ঘটনায় যারাই হতাহত হয়েছেন তাদেরকে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি সকল হতাহতের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া হবে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সবাই পাশে থাকুন।”