বরিশালে মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা, গ্রেফতার মা

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

সম্প্রতি বরিশালের উজিরপুরে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে মায়ের অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় শিশু পুত্র সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মায়ের পরকীয়া প্রেমিক। সেই ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার একই ঘটনা ঘটেছে বরিশাল সদরে।

পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় ১৩ বছর বয়সী কন্যাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে তার গর্ভধারিণী মা এবং পরকীয়া প্রেমিক। পরে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়। নিহতের নাম তন্নি আক্তার। এ ঘটনায় ঘাতক মাকে গ্রেফতার করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। তবে ঘাতক প্রেমিক কবির খান পলাতক রয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের ছোট রাজাপুর গ্রামে। গ্রেফতারকৃত লিপি আক্তার (৩০) কাউনিয়া থানাধীন সায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের ছোট রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. সোহরাব হাওলাদারের স্ত্রী।

শনিবার (০৪ জুন) বেলা ১২ টার দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কাউনিয়া থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উত্তর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

- বিজ্ঞাপন -

তিনি জানান, কাউনিয়া থানাধীন সায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের ছোট রাজাপুর গ্রামের সোহরাব হাওলাদারের স্ত্রী লিপি আক্তারের সাথে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ায় একই ইউনিয়নের রামকাঠি গ্রামের নুরু খানের ছেলে কবির খান।

ঘটনার দিন অর্থাৎ গত (২৭ মে) দুপুরে লিপি আক্তার নিজ ঘরে তার পরকীয়া প্রেমিক কবির খানের সাথে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। যা দেখে ফেলে তার মেয়ে তন্নি আক্তার (১৩)।

এসময় তন্নি এ ঘটনা তার বাবাকে বলে দেওয়ার কথা বললে। এজন্য পাশণ্ড মা লিপি আক্তার ও তার পরকীয়া প্রেমিক কবির খান মিলে তন্নিকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করে তন্নিকে গলায় দড়ি দিয়ে ঘরে ঝুলিয়ে রাখে এবং সে আত্মহত্যা করেছে বলে এলাকাবাসীর কাছে প্রচার করে মা লিপি।

এঘটনায় গত ২৭ মে কাউনিয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার সূত্র ধরে তদন্তে নামে কাউনিয়া থানা পুলিশ। তদন্ত করতে গিয়ে মূল রহস্য উদঘাটন করেন কাউনিয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ছগির হোসেন। এরপর শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় ঘাতক মা লিপি আক্তার কে।

বিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন নিহত তন্নির বাবা সোহরাব হাওলাদার। মামলা নং ৩। আটক মাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সে মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।

- বিজ্ঞাপন -

তিনি বলেন, হত্যার কাজে ব্যবহৃত সকল আলামত জব্দ করা হয়েছে। তবে পরকীয়া প্রেমিক কবির খান ঘটনার দিন থেকেই আত্মগোপনে রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। খুব শিঘ্রই আসামি গ্রেফতার হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!