বিশ্বব্যাপী সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার মধ্যেই ৫১ জনের মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, ফ্রান্সের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ শুক্রবার (৩ জুন) জানিয়েছে, মে মাসে তারা প্রথম রোগী শনাক্ত করেছিল এবং বুধবার পর্যন্ত মোট ৫১ জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন।
ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন শুক্রবার বলেছে, এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হওয়া ২১ জনসহ বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ৭০০ জনেরও বেশি রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
এদিকে, ফরাসি জাতীয় জনস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, আক্রান্ত রোগীদের বেশিরভাগই পুরুষ, যাদের বয়স ২২ থেকে ৬৩ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে শুধুমাত্র একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিরল এই রোগটি সাধারণত মারাত্মক না। জ্বর, পেশীতে ব্যথা, লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া, ঠান্ডা লাগা, ক্লান্তি এবং হাত ও মুখে চিকেনপক্সের মতো ফুসকুড়ি ওঠার মাধ্যমে মাঙ্কিপক্স চিহ্নিত করা যায়।
এই রোগটি মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার কিছু অংশে স্থানীয় হলেও কিন্তু ইউরোপ এবং উত্তর আফ্রিকায় বিরল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মাঙ্কিপক্স সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহ পর ঠিক হয়ে যায়।
গত সপ্তাহে ফরাসি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রিজিট বোরগুইগনন বলেছেন, কর্মকর্তারা মাঙ্কিপক্সকে “প্রকোপ” আকারে আশা করেননি এবং তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিনের মজুদ রয়েছে।
স্বাস্থ্য কর্মীসহ প্রাপ্তবয়স্ক কেউ যদি সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন তাহলে টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইউরোপীয় দেশটি।