সারাদেশে আজ শনিবার (৪ জুন) থেকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সাত দিন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ সপ্তাহ পালন করা হবে। এই সপ্তাহে দেশব্যাপী প্রায় এক কোটি ৪১ লাখ ৭৭ হাজার জনকে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে টিকার বিশেষ কার্যক্রম শুরু করতে মাঠে নেমেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সারাদেশের নির্ধারিত করোনার টিকা কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। এ ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ের কেন্দ্রগুলোতেও এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার চার মাস পার করেছেন, এমন ব্যক্তিরাই যেকোনো কেন্দ্রে বুস্টার ডোজ পাচ্ছেন। টিকা গ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তির বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে। করোনার টিকা কার্ড সঙ্গে না থাকলে টিকা নেওয়া যাবে না।
অল্প সময়ে বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ এর আগেও একাধিক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী এ পর্যন্ত এক কোটি ৫৫ লাখ ৬১ হাজার মানুষকে করোনার টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশের ৯ শতাংশ মানুষ বুস্টার ডোজ পেয়েছেন। এ সপ্তাহে আরও এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হলে তৃতীয় ডোজের ক্ষেত্রেও বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ করোনার প্রায় ৩০ কোটি টিকা সংগ্রহ করেছে। এর বড় অংশ সরাসরি কেনা, একটি অংশ বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে কেনা, কিছু টিকা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে অনুদান পাওয়া আবার কিছু টিকা উপহার পাওয়া।
টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশ প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ ভারতকে পেছনে ফেলেছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশের মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। ইতিমধ্যে ১২ কোটি ৮৭ লাখ মানুষ বা মোট জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশ প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ১১ কোটি ৭৭ লাখ মানুষ বা মোট জনসংখ্যার ৬৯ শতাংশ।