ফেনীর দাগনভূঞায় মাদ্রাসার সুপারের ওপর “অভিমান” করে ফারজানা আক্তার (১৪) নামে এক ছাত্রী “আত্মহত্যা” করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃত ফারজানা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের মেয়ে এবং আমুভূঞারহাট হাছানিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। তবে কোনো মামলা বা অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ওই ছাত্রীকে অভিভাবক নিয়ে মাদ্রাসায় আসতে বলেন সুপার মাওলানা বেলাল হোসেন। কিন্তু তার বাবার কর্মস্থল ঢাকায় এবং মা অসুস্থ থাকায় সুপারের সঙ্গে দেখা করতে কেউ যেতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার সকালে ফারজানা মাদ্রাসায় গেলে সুপার এবং সহকারী শিক্ষক মো. আলমগীর ও গিয়াস উদ্দিন মিঞা তাকে বকাঝকা করে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দেন। অভিযোগ উঠেছে, এ ঘটনায় অপমানিত বোধ করে ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে ঘরের ভেতর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসা সুপার বেলাল হোসেন বলেন, “ওই ছাত্রীর বিষয়ে কিছু অভিযোগ থাকায় অভিভাবককে নিয়ে আসার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু সে অভিভাবক নিয়ে আসেনি। পরে আমি ও সহকারী শিক্ষক মো. আলমগীর এবং গিয়াস উদ্দিন মিঞা তাকে জানাই, অভিভাবক নিয়ে না আসা পর্যন্ত ক্লাশ করার দরকার নেই। তখন সে বাড়ি চলে যায়। তাকে কোনো বকাঝকা করা হয়নি।”
এ বিষয়ে কথা বলতে সহকারী শিক্ষক মো. আলমগীর ও গিয়াস উদ্দিন মিঞার মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাতে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।