ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও ৯০ পয়সা কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য বেড়ে হয়েছে ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা। বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত সোমবার ডলারের বিপরীতে টাকার মান ১ টাকা ১০ পয়সা কমানো হয়েছিল।
এর আগে সকালে মাত্র চার দিনের মাথায় ব্যাংকগুলোর জন্য বেঁধে দেওয়া মার্কিন ডলারের এক রেট প্রত্যাহার করে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে বাজার চাহিদা ও সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে ডলার মূল্য নির্ধারণ করা হবে বলে জানানো হয়।
গত কয়েক মাস ধরে ক্রমবর্ধমান আমদানির মূল্য পরিশোধের কারণে তীব্র চাপের মুখে পড়েছে টাকা। এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরেই ৮ বার ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন করেছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক রাষ্ট্রমালিকানাধীন ও বেসরকারি খাতের চারটি ব্যাংকের কাছে ৮৯ টাকা ৯০ পয়সায় ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে। সরকারি আমদানি বিল মেটাতে ব্যাংকগুলোর কাছে এ ডলার বিক্রি করা হয়।
টাকার মান আরেক দফা অবমূল্যায়নের ফলে আমদানির খরচ আরও বেড়ে যাবে। অন্যদিকে এর ফলে লাভবান হবেন রপ্তানিকারকেরা। সাধারণত রপ্তানিকারকদের সুবিধা দিতেই স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়। তবে এখন এই পথে বাংলাদেশকে যেতে হচ্ছে অনেকটা বাধ্য হয়েই।
প্রসঙ্গত, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকায় বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে গত রবিবার দাম বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তব্যাংক লেনদেনে ডলারের রেট ছিল ৮৯ টাকা। আমদানি পর্যায়ে ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা। আর প্রবাসী আয় আনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর জন্য ডলারের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৮৯ টাকা ২০ পয়সা। কিন্তু এ দাম নির্ধারণের পর কমে যায় প্রবাসী আয়। রপ্তানিকারকরাও বেঁধে দেওয়া দামে রফতানি বিল নগদায়ন করছেন না। এতে আমদানি বিল মেটাতে গিয়ে সংকটে পড়ে কয়েকটি ব্যাংক।