লাল সিং চাড্ডার ট্রেইলার রিলিজের পরে দেখলাম বেশ কিছু কমেন্টের ঢেউ উঠে এসেছে, যার মাঝে একটা ঢেউ হচ্ছে রিমেক মুভি বিষয়ে। বলিউড এর নাম রিমেকউড রাখা উচিৎ এই কথা আমিও অনেক সময় বলি কারণ ইনসেন এমাউন্ট অফ সিনেমা রিমেক হচ্ছে এবং হইছেও। বলিউড রিমেক আজকে থেকে করে না, আমির খানের অনেক সিনেমা হলিউডের মুভি থেকে কপি করা, আগে ইনফরমেশন এত পাস হইত না বলে আমরা জানতাম না যাই হোক সেটা ভিন্ন আলোচনা।
এখন এত রিমেকের ভিরে আলাদা করে লাল সিং কে নিয়ে কেন কথা বলছি? কারণ কিছু রিমেকের বেকস্টোরি থাকে। সেই কথা বলার আগে একটা রিসেন্ট উদাহরণ দেই, রিমেক সিনেমা কিন্তু শুধু বলিউডে তৈরি হয় তা না, পৃথিবীর সব ইন্ডাস্ট্রিতেই হয়, যেমন কিছুদিন আগে হলিউডে একটা হাই প্রোফাইল সিনেমার রিমেক হয়েছে, যিনি রিমেক করেছেন তিনিও হাই প্রোফাইল নির্মাতা, পোস্টার থেকেই বুঝতে পারছেন স্পিলবার্গের West Side Story নিয়ে কথা বলছি। সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছে ১৯৬২ সালে তৈরি একই নামের সিনেমার উপর বেজ করে, যা তৈরি করা হয়েছে ব্রডওয়ে মিউজিকাল প্লে থেকে এডপ্ট করে। সেই প্লে আবার তৈরি করা হয়েছে আর্থার লেভিন এর লেখা গল্পের অবলম্বনে শেক্সপিওর এর রোমিও জুলিয়েট নাটকের থিমে। সেই সিনেমা ৩৪তম একাডমি পুরষ্কারের আসরে ১০ টা ওস্কার হাতিয়ে নেয়। এত খ্যাতিমান একটা নাটককে কেন স্পিলবার্গ আবার রুপালী পর্দায় নিয়ে আসলেন? তিনি এই প্রশ্নের উত্তরে একটা কথাই বলেছেন
“So, I have been challenged by what would be the right musical to take on. And I could never forget my childhood. I was 10-years-old when I first listened to the ‘West Side Story’ album. And it never went away. I have been able to fulfill that dream and keep that promise that I made to myself; you must make ‘West Side Story.’
১০ বছর বয়সে ওয়েস্ট সাইড স্টোরির এলবাম শুনে তার মনে হয়েছিলো সে একদিন এই মুভিটা তৈরি করবে, সেই ইচ্ছা সে ২০২১সে এসে পূরণ করতে পারলেন।
আমির খানের লাল সিং চাড্ডাও একই এই সিনেমার এডাপ্টেশন লেখা হয়েছে ১৪ বছর আগে। আতুল কুল্কার্নি আমির খানকে স্ক্রিপ্ট শুনায় ও সেখান থেকেই এর জার্নি শুরু হয়। এবং শেষ পর্যন্ত ১১ই আগস্ট সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। ফরেস্ট গাম্প এর গল্প আসলেই এতটা কম্পেলিং যে এই মুভির রেফারেন্স আগনিত সিনেমায় দেখানো হয়েছে, এখন নির্মাতা হিসেবে আমিরের ইচ্ছা হতেই পারে এই গল্পটাকে এডপ্ট করা, মুভি কেমন হবে তা ত দেখার পরেই বুঝা যাবে,
আচ্ছা বুঝলাম এডপ্ট/রিমেক/কপি করবে তাই বলে ফ্রেম বাই ফ্রেম?
প্রথমত ফ্রেম বাই ফ্রেম কপি হচ্ছে না ফ্রেম আর স্ট্রোরি স্ট্রাকচার এক জিনিস না, সিনেমার প্রথম ভিজুয়াল পার্থক্য ফরেস্ট বসে ছিলো একটা বাস স্টপের বেঞ্চে আর লাল সিং ট্রেনে, যা পুরো প্রেমাইস টাই চেঞ্জ করে ফেলে। আর বাকি যে ইভেন্ট গুলো দেখানো হুয়েছে তা চেঞ্জ করা খুবই রিস্কি কারণ এগুলো ফরেস্টের ক্যারেকটার আর্ক, এই আর্ক এর প্রেমিসিস কি করে লাল সিং এর চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলবে তাই দেখার বিষয়।
কয়েকদিন আগে শাহিদ কাপুরের জার্সি সিনেমাটি মুক্তি পায় যা বক্স অফিসে খুব একটা ভালো করতে পারেনি, এর কারণ অনেক হতে পারে, তার মাঝে একটা হচ্ছে অরিজিনাল জার্সির হিন্দি ডাবড অলরেডি ছিলো যা হিন্দি দর্শক অনেকেই দেখে ফেলছে তাই যদিও এটা পারিবারিক সিনেমা ছিলো তাও দর্শক হল মুখো হয়নি। একই ঘটনা কি লাল সিং চাড্ডার সাথেও হয় নাকি সেটাত ১১ই আগস্ট দেখা যাবে।