মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন একুশের অমর গানের রচয়িতা প্রখ্যাত সাংবাদিক-কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী।
শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাকে সমাহিত করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
এর আগে বিকাল ৪টা ৮ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ডে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, সাংবাদিক নেতা ও সাংবাদিকরা অংশ নেন। পরে তার মরদেহ নেওয়া হয় বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।
গত ১৯ মে লন্ডনের একটি হাসপাতালে মারা যান একুশের অমর গানের রচয়িতা। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। ১০ দিন পর আজ তার মরদেহ বাংলাদেশে আনা হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে আজ বেলা ১১টার পর রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মরদেহ পৌঁছায়।
বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে গাফফার চৌধুরীর মরদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজম্মেল হক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া।
পরে বেলা সোয়া একটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ নেয়া হয়। সেখানে শত শত মানুষ ফুল দিয়ে তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানায়। পরে বেলা সোয়া তিনটার দিকে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ আনা হয় ঢাবিতে। বেলা তিনটা ২০ মিনিটে প্রথম জানাজা হয় ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। সেখান থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে নেওয়া হয় তার মরদেহ। সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।