কিছু অভিভাবক সন্তানের জিপিএ ফাইভ পাওয়ার জন্য ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সংগ্রহ করেন বলে মন্তব্য করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, “আমার কাছে অভিভাবকরা এসে বলত আমার সন্তান জিপিএ-৫ পেয়েছে। আমি তখন খুব খুশি হতাম। ধীরে ধীরে খবর পেলাম, জিপিএ-৫ পাওয়ার জন্য অভিভাবকরা সন্তানদের একটার পর একটা কোচিংয়ে পাঠান। গাইড বই কিনে দিয়ে মুখস্ত করতে বলেন। আবার ফাঁস হওয়া প্রশ্ন অভিভাবকরা জোগাড় করে সন্তানদের মুখস্ত করতে দেন।”
তিনি বলেন, “ক্রিকেট খেলতে ভালো লাগলে তুমি সাকিব আল হাসান হয়ে যাও। আমার এতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু বিজ্ঞানমনস্ক হও। সবাইকে বৈজ্ঞানিক হতে হবে না। কিন্তু সবাইকে বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “২০০০ সালে পৃথিবীর সব বৈজ্ঞানিকসহ জ্ঞানীরা সিদ্ধান্ত দিলেন, পৃথিবীর সম্পদ হচ্ছে জ্ঞান। যে দেশে সোনারখনি সে দেশ বড়লোক, হিরার খনি সে দেশ বড়লোক, যে দেশ যুদ্ধ জাহাজ ও অস্ত্র বানায় সে দেশ বড়লোক, এটা ঠিক নয়। যে দেশে মানুষের মধ্যে জ্ঞান আছে সে দেশ বড়লোক। শিক্ষার্থীরা তোমরা মূল্যবান পদার্থ। তোমরা সবাই সম্পদ। পড়াশোনা করলে সবাই সম্পদ হয়ে যাবে।”
এ সময় “এসো বিজ্ঞান শিখি, প্রযুক্তিভিত্তিক দেশ গড়ি” প্রতিপাদ্য সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জাফর ইকবাল।
লৌহজং উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।