মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে পাল্টা জবাবই দিয়েছে সফররত শ্রীলঙ্কা। দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও ওশাদা ফার্নান্দোর ফিফটিতে দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে তুলেছে ১৪৩ রান লঙ্কানরা। ফলে এখনও ২২২ রানে এগিয়ে রয়েছেন মুমিনুল হকরা।
বাংলাদেশের করা ৩৬৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ভয়-ডরহীন খেলা খেলতে থাকে সফররত শ্রীলঙ্কা। অনেকটাই ওয়ানডে ধাচে ব্যাট করতে থাকেন দুই লঙ্কান ব্যাটার। ওপেনিং জুটিতে আসে ৯৫ রান। ইবাদত হোসেনের বলে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন ওশাদা ফার্নান্দো। আউট হয়েছেন ৫৭ রানে।
দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নেমে একটা সুবিধা করতে পারেননি কুশল মেন্ডিস। সাকিব আল হাসানের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পরার আগে করেন ১১ রান। এরপর কাসুন রাজিথাকে সঙ্গে নিয়ে দিন শেষ করেন ওপেনার ও অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। ১২৭ বলে ৭ চারের মারে ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন দিমুথ। আর শূন্যরানে অপরাজিত থাকেন রাজিথা।
এদিকে দিনের শুরুতে ৫ উইকেটে ২৭৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলায় শুরু করে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো মনে হলেও দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফিরলেন সেঞ্চুরিয়ান লিটন কুমার দাস। এর মাধ্যমে ২৭২ রানে থেমেছে লিটন মুশফিক জুটি।
কাসুন রাজিথার বলে আউট হওয়ার আগে ১৪১ রান করেন লিটন কুমার দাস। ২৪৬ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি ১৬টি চার এবং একটি ছয়ে সাজানো। একই ওভারে আউট হয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
এ সময় কিছুটা চাপেই পড়ে বাংলাদেশ দল। তবে অষ্ঠম উইকেট জুটিতে তাইজুল ইসলামকে আবারও দলীয় স্কোরটা বাড়িয়ে নিতে থাকে মুশফিক। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত ইনিংসটাও দেড়শ ছাড়িয়েছেন তিনি। এই জুটিতে আসে ৪৯ রান। তাইজুল আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ১৫ রানে। আর নবম উইকেটে ব্যাট করতে নেমে কোনো রান তুলতে পারেননি খালেদ আহমেদ।
দশম উইকেটে ইবাদত হোসেনকে নিয়ে লঙ্কানদের খানিক ভুগিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এ সময় দুজন মিলে খেলেছেন ৯.১ ওভার। এরপরও বাংলাদেশের শেষ উইকেটটি নিতে পারছিলেন না লঙ্কান বোলাররা। অবশেষে ইবাদত রান আউট হলে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ২০ বলে কোনো রান করতে পারেননি ইবাদত।
এদিকে মুশফিকুর রহিম অপরাজিত থাকেন ১৭৫ রানে। ৩৫৫ বলে খেলা তার এই শৈল্পিক ইনিংসটি ২০টি চারে সাজানো। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন কাসুন রাজাথা। আর আসিথা ফার্নান্দো পেয়েছেন চারটি উইকেট।