চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পুলিশ কনস্টেবল জনি খানের কব্জি বিচ্ছিন্নের ঘটনার মূল আসামি কবির আহমদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাতে লোহাগড়ার পাহাড়ি এলাকা থেকে এক সহযোগীসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মো. নুরুল আবছার বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যের কবজি বিচ্ছিন্নের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার মূল আসামি কবিরকে র্যাবের অভিযানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সহযোগীসহ লোহাগড়ার পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।”
এর আগে, গত ১৫ মে রাতে বান্দরবন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কবিরের স্ত্রী রানু বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওইদিন সকালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় অভিযানে গিয়ে আসামির দায়ের কোপে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয় পুলিশ কনস্টেবল জনি খানের। এসময় মামলার বাদীসহ আরও এক কনস্টেবল আহত হন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার পদুয়া এলাকার বাসিন্দা মো. আবুল হোসেন গত ২৪ মার্চ অনধিকার প্রবেশ ও মারামারির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পদুয়ার লালারখিল এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে কবির আহমদকে (৪০) ২ নম্বর আসামি করা হয়। রবিবার সকাল ১০টার দিকে লোহাগাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ভক্ত চন্দ্র দত্তের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি টিম আসামি কবিরকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে অভিযান চালালে কবিরের নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পুলিশ কনস্টেবল জনি খানের হাতের কব্জি।
এ সময় কনস্টেবল জনি ছাড়াও কনস্টেবল শাহাদত হোসেন ও স্থানীয় আবুল কাশেমও গুরুতর আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, কবির আহমদ আগেও একাধিক অপরাধ সংঘটিত করেছে।