বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান আধুনিক কবি জীবনানন্দ দাশের নামে পদ্মা সেতুর নামকরণের দাবি জানিয়েছে “বঙ্গ আমার জননী আমার” নামে একটি সংগঠন। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, আমাদের দেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলামসহ অনেক কবিদের নামে বিভিন্ন স্থাপনা থাকলেও জীবনানন্দ দাশের নামে কোনো স্থাপনা নেই। তাই পদ্মা সেতুর নাম ‘‘জীবনানন্দ সেতু’’ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বুধবার (১৮ মে) দুপুরে যশোর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ এই দাবি তুলে ধরেন।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি অনুপম ঘোষ বলেন, “বাংলাদেশের সক্ষমতা ও গর্বের নাম পদ্মা বহুমুখী সেতু, যা আগামী মাসে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। আমাদের দেশে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, নারী জাগরণের কবি বেগম রোকেয়া, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামে বিশ্ববিদ্যালয়-মহাবিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা রয়েছে। কিন্তু রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের নামে কোনো স্থাপনা নেই। পদ্মা সেতু দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে গোটা দেশের মূল যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই দক্ষিণবঙ্গের জেলা বরিশালে কবি জীবনানন্দ দাশ জন্মগ্রহণ করেছেন। সেই কারণে বৃহৎ এ স্থাপনার নামকরণ তার নামে প্রথমেই বিবেচিত হওয়া উচিত।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, “প্রতিবেশী দেশ ভারতের দ্বিতীয় হুগলী সেতুর নাম বিদ্যাসাগর সেতু, আসাম রাজ্যের বৃহত্তম সেতুটি ভূপেন হাজারিকার নামে এবং বনগাঁর রেল স্টেশন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে নামকরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ, শিল্পী-সাহিত্যিকদের নামে কেবল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শুধু নয়, অন্যান্য স্থাপনারও নামকরণ করা যায়।”
এ সময় জানানো হয়, সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ পদ্মা সেতুকে জীবনানন্দ সেতু নামকরণে প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ২০ মে পদ্মা সেতু অভিমুখে যাত্রা শুরু করবেন। পথে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে পথসভা করে সাধারণ মানুষকে বিষয়টি অবহিত করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আল আমিন শেখ, প্রচার সম্পাদক সুরঞ্জিৎ বিশ্বাস, অর্থ সম্পাদক শঙ্কর বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।