খুলনার বটিয়াঘাটায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন দুই বোন, যাদের মধ্যে একজন ১৩ বছরের কিশোরী। উপজেলার ফুলতলা গ্রামে শনিবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটলেও রবিবার রাতে তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর বিষয়টি প্রকাশ হয়।
নির্যাতিত দুজন সম্পর্কে খালাতো বোন। তাদের মধ্যে একজন স্কুলছাত্রী আর অন্যজন স্বামী পরিত্যক্ত নারী (২৪)। স্বামী পরিত্যক্ত নারীর ২২ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মা জানান, শনিবার বিকালে তিনি তার বোনের বাড়ি ডুমুরিয়া যান। তার স্বামী চিকিৎসার জন্য বাগেরহাটে গিয়েছিলেন। এসময় দুই বোন বাড়িতে একা ছিলেন। মধ্যরাতে সাত যুবক তাদের বাড়িতে যান। সেখান থেকে কয়েকজন ঘরে গিয়ে দুই বোনের হাত ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন। এ সময় আরও কয়েকজন ঘরের বাইরে পাহারায় ছিল। ভোরে তার মেয়ে তাকে ফোন করে ঘটনাটি জানান।
বাড়িতে ফিরে মেয়েকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন তিনি। ঘটনার সময় বড় বোনের সন্তানের গলায় ছুরি ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাকে পানিতে চুবিয়ে রাখে। শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বটিয়াঘাটা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহিদুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’