পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি এবং উচ্চশিক্ষা দফতরের যৌথ টিম মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন।
গত ১১ ই মে। পরিদর্শক দলের চেয়ারম্যান বিধায়ক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এদিন মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো ও অন্যান্য বিষয় খতিয়ে দেখেন। এই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পরিদর্শক দলের সদস্য হিসেবে আরও ছিলেন বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. মানিক ভট্টাচার্য, জনাব মহ. আলী, জাফিকুল ইসলাম, জীবনকৃষ্ণ সাহা, সুশান্ত মাহাতো, জয়েন্ট ডিপিআই ড. মলয় মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কোন প্রতিনিধিদল পরিদর্শনে এলেন। মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপিকা ড. মিতা ব্যানার্জী প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান। তিনি মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিকাঠামো ও অ্যাকাডেমিক বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেন। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং সাঁওতালি বিষয়ে স্নাতক স্তরে পাঠদান করা হয়। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে রেকর্ড সময়ে – মাত্র ২৬ দিনের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিনিধি দল এদিন বিভিন্ন বিষয়ের কো অর্ডিনেটর এবং ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গেও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। পরিকাঠামো ও অন্যান্য সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন কমিটির সদস্যরা। বর্তমান উপাচার্য দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মীও আধিকারিক পদ সৃষ্টি করার পক্ষে সওয়াল করেন। সামগ্রিকভাবে স্ট্যান্ডিং কমিটি ও উচ্চশিক্ষা দফতরের যৌথ টিমের এই পরিদর্শনে মুর্শিদাবাদ জেলাবাসীর মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে জমি। গোপজান মৌজা জে এল নং ১৮, ষোল একরের বেশি জমি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জমি এখানে আছে। বহরমপুর শহরের একেবারে কাছে। খাগড়াঘাট রেল স্টেশন এবং ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে।