ঈদ-উল-ফিতরের ছুটিতে ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ লাখ মোটরসাইকেলে চড়ে যাত্রীরা বিভিন্ন জেলায় গেছেন। আর এতে ১২৮টি দুর্ঘটনায় মোট ১৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে উঠে এসেছে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশনের এক জরিপে।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) নিরাপদ সড়কের জন্য প্রচারণা চালানো সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন (আরএসএফ) ২৫ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার দুর্ঘটনার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
বিষয়টিকে “উদ্বেগজনক” উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদ-উল-ফিতরের ছুটিতে (২৫ এপ্রিল থেকে ৮ মে) সারাদেশে ২৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১৫০০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া সাতটি নৌপথে দুর্ঘটনায় অন্তত পাঁচজন নিহত ও দুজন আহত এবং দুজন নিখোঁজ হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে ১৭টি ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। মোট নিহতদের মধ্যে ৩৮ জন নারী ও ৫১ জন শিশু।
আরএসএফ-এর অনুসন্ধান অনুসারে, মোট দুর্ঘটনার ৪৫.২২% মোটরসাইকেলের। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১৫৬ জনের, যা মোট মৃত্যুর ৪১.৪৮%। এছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৫৪ জন পথচারী নিহত হয়েছেন; যা মোট মৃত্যুর ১৪.৩৬%। প্রায় ৪৯ জন চালক এবং তাদের সহকারীরাও সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন এবং এটি মোট মৃত্যুর ১৩%।
জরিপে বলা হয়েছে, এবারের ঈদযাত্রায় ঢাকা থেকে কমবেশি ৯০ লাখ মানুষ অন্য জেলায় গেছেন। আর দেশের অভ্যন্তরে যাতায়াত করেছেন প্রায় ৩ কোটি মানুষ। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেলের ব্যবহার ছিল বেশি। এসব মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া অর্ধেকের বয়স (৫১.৪২%) ১৪ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্য যানবাহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ১৬.১৯%, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪১.৯৫%, অন্য যানবাহনের মাধ্যমে মোটরসাইকেলে ধাক্কা/চাপায় দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৯.০৪% এবং অন্যান্য কারণে ঘটেছে ২.৮%।