জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কীত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটসহ সকল তামাকপণ্যে সুনির্দিষ্ট ও কার্যকর করারোপের মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির জন্য এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে একটি শক্তিশালী তামাক শুল্ক-নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য দ্রুতই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
১২ মে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সংসদের এমপি হোস্টেলে নিজ কার্যালয়ে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে মোঃ মুজিবুল হক, এমপি এ কথা বলেন।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মোঃ শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন মিডিয়া ম্যানেজার রেজাউর রহমান রিজভী, প্রোগ্রাম অফিসার অদুত রহমান ইমন ও শারমিন আক্তার রিনি। প্রতিনিধি দল মোঃ মুজিবুল হক, এমপিকে তামাক নিয়ন্ত্রণে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
মোঃ মুজিবুল হক, এমপি বলেন, প্রতি বছর বাজেট অধিবেশনে সারা দেশের মানুষ জাতীয় সংসদের দিকে তাকিয়ে থাকে তাদের সমৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধির বাজেট শোনার জন্য। আমি মনে করি, এ বাজেট কেবল সাধারণ মানুষের আর্থিক সুরক্ষার কথাই বলবে না, বরং তাদের স্বাস্থ্যগত, মানসিক ও পরিবেশগত উন্নয়নের কথাও বলবে।
সেক্ষেত্রে তামাকজাত দ্রব্য যেহেতু মানুষের স্বাস্থ্যগত, মানসিক ও পরিবেশগত উন্নয়নের পথে অন্যতম বাঁধা, তাই তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর আরোপ করে তামাকজাত দ্রব্য বিশেষত সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করা এখন সময়ের দাবি। এর ফলে সবচেয়ে উপকৃত হবে আগামী দিনে দেশের হাল ধরবে যারা সেই তরুণ প্রজন্ম। আর তাই তরুণ প্রজন্মকে রক্ষায় তামাকজাত দ্রব্যের কর বাড়িয়ে মূল্য বৃদ্ধি জরুরী।
এজন্য মোঃ মুজিবুল হক, এমপি তিনটি প্রস্তাব সুপারিশ করেন। সকল সিগারেট ব্রান্ডে অভিন্ন করভারসহ (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬৫%) মূল্যস্তরভিত্তিক সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ (সম্পূরক) শুল্ক প্রচলন করা, ফিল্টারযুক্ত ও ফিল্টারবিহীন বিড়িতে অভিন্ন করভারসহ (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৪৫%) সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ (সম্পূরক) শুল্ক প্রচলন করা এবং জর্দা এবং গুলের কর ও দাম বৃদ্ধিসহ সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ শুল্ক (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬০%) প্রচলন করা।
এই প্রস্তাব ও সুপারিশসমূহ বাস্তবায়িত হলে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে একটি
গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে বলে মোঃ মুজিবুল হক, এমপি বিশ্বাস করেন বলে জানান।
প্রতিনিধি দল এ সম্পর্কে আসন্ন বাজেট অধিবেশনে মোঃ মুজিবুল হক, এমপির সমর্থন চান। এমপি প্রতিনিধি দলকে তাদের কার্যক্রমের জন্য সাধুবাদ জানান ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।#