টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় ‘‘কু-প্রস্তাবে’’ রাজি না হওয়ায় এক নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় জরুরি সহায়তা নম্বর ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১১ মে) উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের মরিচা পাইকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূকে নির্যাতনে অভিযুক্ত মোশারফ মিয়া ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, “আমার স্বামী প্রবাসে থাকেন। সম্পর্কে মামা হয়েও এ সুযোগে ইউপি সদস্য মোশারফ দীর্ঘদিন ধরে আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। রাজি না হওয়ায় সে আমাকে ভয়ভীতি দেখাত এবং বাড়ি থেকে একাধিকবার উচ্ছেদের চেষ্টাও করে। রমজান মাসে রাতে সেহরি রান্না করার সময় মোশারফ তার এক বন্ধুকে নিয়ে এসে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন আমার চিৎকারে লোক জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরে আমি টাঙ্গাইল আদালতে মামলা দায়ের করলে সে আমার ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটায়।”
স্থানীয়রা জানান, ইউপি সদস্য মোশারফ মিয়া স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দেওয়া নিয়ে এলাকায় সালিশ বৈঠকও হয়েছিল।
বুধবার যেভাবে তিনি মধ্যযুগীয় কায়দায় ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করেছেন, সেজন্য তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোশারফ মিয়া বলেন, “আমার পরিবারের ওপর হামলা করায় তাকে গাছে বেঁধে রাখা হয়।” তবে তিনি ওই গৃহবধূকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ প্রসঙ্গে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মনিরুজাামান বলেন, “৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি।”