পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে-পরের ১২ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৮১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ২ হাজার ৭৭ জন।
মঙ্গলবার (১০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য রোড। দেশের ২৮টি জাতীয় দৈনিক, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও টেলিভিশনে পাওয়া তথ্য এবং সারা দেশে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীদের দেওয়া তথ্য সমন্বয় করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
বিবৃতিতে সেভ দ্যা রোড বলেছে, ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে কৃত্রিম টিকিট সংকট তৈরি করে দুই থেকে তিন গুণ ভাড়া আদায় করে একটি মহল। এতে সম্পৃক্ত ছিল সরকারি দলের নেতাকর্মী ও পুলিশ-প্রশাসনের একটি অংশ।
সংগঠনের মহাসচিব শান্তা ফারজানার পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ঈদে নিয়ম না মানা ও হেলমেট ব্যবহারে অনীহার কারণে ১ হাজার ৬১৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৯৬৮ জন আহত এবং ১৯০ জন নিহত হয়েছে; অসাবধানতা ও ঘুমন্ত চোখে-ক্লান্তিসহ দ্রুত চালানোর কারণে ৪০৭টি ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৩২১ জন এবং নিহত হয়েছে ১৬৮ জন; খানাখন্দ, অচল রাস্তাঘাট ও সড়কপথে নৈরাজ্যের কারণে ৪৬৭টি বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৩১০ জন এবং নিহত হয়েছে ১৫৪ জন; পাড়া-মহল্লা-মহাসড়কে অসাবধানতার সঙ্গে চলাচলের কারণে লরি-পিকআপ-নসিমন-করিমন-ব্যাটারি চালিত রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৮৬টি, এতে আহত হয়েছে ৪৭৮ জন এবং ১৬৯ জন নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনায় গড়ে প্রতিদিন মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৬ জন এবং আহত হয়েছেন ২৬৪ জন।
নিয়ম না মানা এবং হেলমেট ব্যবহার না করায় ১ হাজার ৬১৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯০ জন নিহত এবং ৯৬৮ জন আহত হয়েছে।
বিবৃতিতে সেভ দ্যা রোড বলেছে, এ সময়ে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল তা হলো— ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে কৃত্রিম টিকিট সংকট তৈরি করে দুই থেকে তিন গুণ ভাড়া আদায় করে একটি মহল। এতে সম্পৃক্ত ছিল সরকারি দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনের একটি বড় অংশ।