প্রায়দিনই তো যাওয়া-আসা মসজিদেরই পাশে
“মা” বুঝি আজ ঘুমিয়ে আছে
ভিজে মাটির ঘাসে,
বিশ বছরের রোগ কষ্টে হওনি কভু পর
আগষ্ট মাসে গেলে চলে ফেলে আপন ঘর।
জানিনে তো মায়ের কবর কোন বা গাছের তলে
হেলায়, ফেলায় রইলো পড়ে কোন সে মাটির কোলে।
পায়ের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে কয়,
একটু কাছে আয়
আট বছর হয় গেলে ফেলে আর
কোনো নাই দায়?
পুত্র সন্তান নেই তো মায়ের
করবে কে তাঁর কবর জিয়ারত?
মোল্লা হুজুর রুদ্ধ করেছে
আমার সকল পথ।
কুড়িটি বছর উৎসর্গ করি মায়ের
সেবার পিছে
পিতৃতন্ত্র করে দিলো জীবন আমার মিছে।
আমি কাঁদি “মা”-ও কাঁদে একটু দোওয়া চায়,
পুত্র সন্তান পারলে কেন কন্যা
পারেনা হায়!
বুকের ব্যাথা, মনের জ্বালা, মূল্যবোধ ও জ্ঞান
স্রষ্টা সবার
নিজেকে চিনতে
করো স্রষ্টার ধ্যান।
মাতৃজঠরে জন্ম নিলো প্রতি
নরসন্তান,
সেই পুরুষই করে আবার নারীর
অপমান
পুরুষ বলে যত্রতত্র অবাধ যাতায়াত,
গোঁড়া হুজুর ইচ্ছেমত চালায়
ধর্মের রথ।
মরলে আমি পারি যেতে মসজিদেরই কবরে,
জ্যান্ত আমি পারিনা যেতে
পিতৃতন্ত্রের জবরে।
কাবা শরীফ রাসূল ঘরে পারি যদি যেতে,
জুব্বা হুজুর দেয়না কেন মাকে
কাছে পেতে?
সব সুবিধা নর পাবে, নারী কেন নয়?