:বাবা, স্বাধীনতা কী?
:স্বাধীনতা মানে নিজের অধীনতা।
:মানে?
:মানে যা ইচ্ছা তাই করা।
:তা হলে আমি কি স্বাধীনতা?
:উহু, স্বাধীনতা নয়, বল স্বাধীন।
তুমি যখন বড় হবে
তখন স্বাধীন হবে।
:মা কবে বড় হবে?
বেশ কয়েক বছর আগে আন্তর্জাতিক মা দিবসে ভারতের কোন এক টেলিভিশন চ্যানেলে পশ্চিম বাংলার অভিনেত্রী শতাব্দী রায়ের কণ্ঠে (সম্ভবত তার লেখা) এ ধরনের একটি কবিতা শুনেছিলাম। দুর্নীতি প্রতিরোধে মায়ের ভূমিকা লিখতে গিয়ে সেই কবিতাটি মনে পড়ে গেলো।যে দেশের শতকরা ৯৫ভাগ মায়ের পারিবারিক অবস্হান বড়(!) হবার পর্যায় নেই, সে দেশের মা’ দের কাছ থেকে কীভাবে নেপোলিয়নের good mother/good nation আশা করা যায়?
আমি দুঃখিত, গতানুগতিক ধারায় কোনো বিষয় লিখতে বা আলোচনা করতে হলে প্রথমে তার ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে বিরাজমান মা তথা নারীর ব্যক্তিগত/পারিবারিক/সামাজিক অবস্থানের কারণে এ নেতিবাচক ক্ষোভ দিয়ে লেখার সূচনা। বস্তত যে দেশে বোবা মেয়ের নাম রাখা হয় ‘সুভাষিনী’, সে দেশে “বিশ্বের যাকিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর/অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর”- কথাগুলো শুনতে ভালোই লাগে।তবে এ দেশে নারীর অবস্থানের দিকে তাকালে কবির এই স্বীকৃতিকে হাস্যকর মনে হয় না কি?
যাক! দুর্নীতি প্রতিরোধে মায়ের ভূমিকা প্রসঙ্গে আসার আগে যে দিনটিতে এ প্রসঙ্গের অবতারণা সে দিনটি অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মা দিবসের পটভূমি নিয়ে কিছু বলাটা বোধহয় অপ্রাসঙ্গিক হবেনা।
আন্তর্জাতিক মা দিবস উদযাপনের বিষয়টি আমাদের দেশে কিছুটা নতুন শোনালেও বিশ্বের কিছু দেশে এর প্রচলন প্রাচীন কাল থেকেই। গ্রীক দেবরাজ জিউসের মাতা এনাসের স্ত্রী রিয়ার (Reha) উদ্দেশ্যে বসন্তকালে এ দিনটি পালন করা হত। অপরদিকে রোমান পুরাণের মাতৃদেবতা সিবেল (Cybele) ছিলেন প্রকৃতির প্রতিপালিতা। এজন্য তিনি জীবনদায়িনী মাতা রূপে পূজিত হতেন। এই দেবী সিবেল স্মরণে খৃষ্টপূর্ব ২৫০সালে রোমানরা মার্চের ১৫থেকে ১৮ তারিখ এ ক’দিন হিলারিয়া নামে মা দিবস পালন করতো।
এর অনেক পরে ১৬শ শতকে ইংল্যান্ড, নর্দান ও স্কটল্যান্ডের খৃষ্টান সম্প্রদায় মহাপ্রভু যিশুর রোজা রাখার প্রতি সংহতি প্রকাশ করেAsh Wednesday থেকে Easter Eve পর্যন্ত রোজা রাখত। এই রোজা কালীন সময়ের চতুর্থ রোববারকে মা মেরির Mothering Sunday হিসাবে পালন করা হত।
এরপর মহাকালের চাকা অনেক গড়িয়ে গেল। আজ থেকে প্রায় দেড়শ বছর আগে আমেরিকার এক মন্ত্রীকন্যা Anna Reese Jarvis (১৮৩২-১৯০৫) এ্যপালোচিয়ান হোম মেকারদের নিয়ে কাজ করতেন এবং প্রতি রোববার চার্চে ক্লাস নিতেন। তিনি তার সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বাস্হ্য সচেতনতা জাগানোর জন্যে Mother’s Works day নামে একটি দিন চালু করেন। এর পনের বছর পর বোস্টনের শান্তিবাদী কবি এবং বিখ্যাত ব্যাটেল হাইস অব দ্যা রিপাবলিকানের রচয়িতা জুলিয়া ওয়ার্ড হোম উপলব্ধি করলেন, মানুষের মৃত্যুকষ্ট বেশি পায় মা। তাই তাঁর শান্তির লক্ষ্যে Mother’s Works day-তে একটি Rally করার জন্য মাদের উদ্বুদ্ধ করেন। ১৮৭০সালে জুলিয়া ওয়ার্ড হোম বোস্টনের ম্যাসাচুয়াসে এ ব্যপারে একটি ঘোষণাপত্র দেয়ার পর ১৮৭২-এ এসংক্রান্ত একটি কনফারেন্স করার জন্য লন্ডনে যান। মহিলা হওয়ার কারণে সেখানে একটি শান্তিসংগঠন তাঁকে বক্তব্য রাখতে বাঁধা দিলে তিনি একটি আলাদা হল ভাড়া করে বক্তব্য রাখেন। সে সময় বোস্টনের আবহাওয়ার দিকে খেয়াল রেখে ২জুন এ দিবসটি পালনের চেষ্টা করা হয়।
এভাবে ১৯০৫ সাল পর্যন্ত বোস্টন, নিউইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া,এডিনবার্গ, জেনেভা এমনকি তুরস্কের কনসট্যানটিনাপল (ইস্তাম্বুল)-এ পর্যন্ত এ দিনটি উদযাপিত হতে থাকে। ১৯০৫-এর ৯-মে এ্যনা রিজ জারভিস মারা গেলে তার সুযোগ্য কন্যা এ্যনা এম জারভিস (১৮৬৪-১৯৪৮) মায়ের মৃত্যু ও কর্ম স্মরণে ১৯০৭-এ প্রচার অভিযান শুরু করেন। এম জারভিস তার স্মৃতিচারণে বলেন- “আমার মা প্রতি রোববার চার্চে পাঠদানকালে বলতেন, কেউ না কেউ কোনদিন মা’দের জন্য একটি দিবস উৎসর্গ করবেন।” মা’র এই মনোবাসনাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট, শিল্পপতি জন আনা মেকারের মতো নামিদামি ব্যক্তিবর্গ এবং অন্ধ বোন এলিনের সহায়তায় ১৯০৮-এর ১০-মে ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার একটি চার্চে তিনি মা স্মরণে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তিনি তার মায়ের প্রিয় ফুল White Carnation দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু করেন। অনুষ্ঠানটি একইসাথে ফিলাডেলফিয়া, গ্রাফটন ও পেনসিলভিয়ায় উদযাপিত হয়। গ্রাফটনের অনুষ্ঠানে ৪০৭ জন উপস্হিত ছিলেন। এর পাঁচ বছর পর House Of Representativeএর দেয়া প্রস্তাব মোতাবেক মা দিবসে ফেডারেল সরকারের কর্মচারীদের জন্য White Carnation ফুলটি পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। এরপর কন্যা এ্যনার অক্লান্ত চেষ্টায় ১৯১৪-র ৭-মে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উডরো উইলসন একটি বিল পাস করে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা দিবস’ নামে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা দেন।
প্রথম দিকে মা দিবসে সন্তানরা তাদের মা’দের কাছে কার্ড, ফুল ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী পাঠাত। এ সমস্ত উপহার সামগ্রী নিয়ে যখন ব্যবসা শুরু হয় তখন মা প্রাণা এ্যনা ক্ষুব্ধ হয়ে মা দিবস বন্ধ করার জন্য ১৯২৩ সালে মামলা করেন এবং মা দিবসের উপহার সামগ্রী বিতরণে বাঁধা দিতে গিয়ে গ্রেফতার হন। অন্যদিকে নারীবাদীরাও মা’দের জন্য একটি আলাদা দিবস উদযাপনের বিরোধীতা করতো।১৯২২ সালে নারীবাদী লেখিকা ক্যাথরিন এ্যনথনি এর বিরুদ্ধে প্রচুর লেখালেখি করেন। কিন্তু জনগণের কাছে এ দিবসটি এতই গ্রহণযোগ্যতা পায় যে, মে মাসের দ্বিতীয় রোববার একটি উৎসবমুখর জনপ্রিয় দিনে পরিণত হয়।
তবে বিশ্বের সর্বত্র একই দিনে এ দিবসটি উদযাপিত হয় না। অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, ফিনল্যান্ড, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, বেলজিয়াম,ভারত, বাংলাদেশ সহ বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার এ দিনটি পালন করা হলেও আরব বিশ্বের অধিকাংশ দেশে সোমবার এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে খাতুন-এ-জান্নাত ফাতিমা জননীর পবিত্র জন্মদিন ২০ জামাদিউস সানিতে অত্যন্ত সাড়ম্বরে এই মা দিবস পালিত হয়। এদিনে ইরানে উপহার সামগ্রীর দোকান, ফুলের দোকান, রাস্তাঘাট-সর্বত্রই একটা ঈদের আমেজ বিরাজ করে।
মা দিবসের এই পটভূমি থেকে এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, সন্তানের জন্ম দানে মায়ের যন্ত্রণা, অসহায় সন্তানের লালনপালনে মায়ের শ্রম ও ত্যাগের মূল্যায়ন করে এ দিবসটি পালন করা হচ্ছে। কিন্তু কোথাও তার দায়িত্ব কর্তব্য পালনের বিষয়টির উল্লেখ নেই।
এ আলোচনায় আমরা পাশ্চাত্যের দিকে তাকাব না। কারণ নারীর ব্যক্তিস্বাতন্ত্রের প্রতীকরূপে গর্ব করার মত আমাদের যেমন রয়েছে ক্ষণা, কামিনী রায়, বেগম রোকেয়া, সুফিয়া কামাল ও জাহানারা ইমামের মতো ত্যাগী, কর্মী ও বিদুষী নারী তেমনি আছে ঈশ্বরী পাটিনীর মতো চিরন্তন মায়ের আদর্শ।
বহু আগের থেকেই নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া এদেশের নারীকে মানসিক দাসত্ব থেকে মুক্ত ও তাদের আত্মসচেতন করার জন্য বারবার আঘাত হেনেছেন। মা’দের অবস্হা প্রসঙ্গে তাঁর ‘সুবহে সাদেক’ প্রবন্ধে বলেছেন,”গভর্নমেন্ট এখন শিশু রক্ষার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন ভালো কথা। কিন্তু প্রথমে শিশুর মাতাকে রক্ষা করা চাই।” অথচ ২০২২এ এসে আজও দেখি এদেশের মা এতই অবহেলিত যে শতকরা ষাট জন মা’কে জন্মদানের জন্য আনকোরা অদক্ষ ধাত্রীর হাতে ছেড়ে দেয়া হয়। অসহ্য শীতের মধ্যেও ঘরের বাইরে আঁতুড়ঘর বানিয়ে জন্মদান পদ্ধতি ও সূতিকাগারের ব্যবস্হা করা হয়। ফলশ্রুতিতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই চরম উৎকর্ষতার মুখে জন্ম দিতে গিয়ে অসংখ্য মা’কে অকালে প্রাণ দিতে হচ্ছে অথবা স্হায়ী অসুস্থতার শিকার হতে হচ্ছে। এধরনের একজন অসুস্থ মা’র কাছ থেকে কেউ কি কোন সুস্থ প্রজন্ম আশা করতে পারে?
এত গেল পৃথিবীর সবচেয়ে মহান দায়িত্ব পালনে মায়ের প্রতি আমাদের কর্তব্য পালনের নমুনা। এবারে আসা যাক পারিবারিক ক্ষেত্রে মায়ের মূল্যায়ন প্রসঙ্গে।
এদেশের ক’জন মা সন্তান তো দূরের কথা নিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে স্বাধীন? এ প্রসঙ্গে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মুক্তি’কবিতা থেকে ক’টা চরণ উদ্ধৃত করছি।
এইটা ভালো, এটা মন্দ,
যে যা বলে সবার কথা মেনে
নামিয়ে চক্ষু মাথায় ঘোমটা টেনে
বাইশ বছর কাটিয়ে দিলেম এই তোমাদের ঘরে।
তাই তো ঘরে পরে
সবাই আমায় বললে-লক্ষী সতী
ভালো মানুষ অতি।
দশের ইচ্ছা বোঝাই করা এ জীবনটা টেনে টেনে শেষে
পৌঁছিনু আজ পথের প্রান্তে এসে
সুখের দুঃখের কথা
একটুখানি ভাবব এমন সময় ছিল কোথা?
জানি নাই তো আমি যে কী,
জানি নাই এ বৃহৎ বসুন্ধরা
কী অর্থে যে ভরা
শুনি নাই তো মানুষের কী বানী
মহাকালের বীনায় বাজে।
আমি কেবল জানি
রাঁধার পরে খাওয়া আবার খাওয়ার পরে রাঁধা
বাইশ বছর এক চাকাতেই বাঁধা।
প্রায় একশ’বছর আগের এ চিত্রটির সাথে বর্তমানের কী খুব একটা পার্থক্য আছে? যে সমাজে মায়ের অবস্হান এমন সে সমাজের সন্তান মাকে লোকদেখানো শ্রদ্ধা ছাড়া আর কিছুই করেনা। বাকী যেটুকু করে তা হলো অনুকম্পা। কারণ এ সমাজে বড় হয়ে সন্তানও স্বাধীন হয় কিন্তু মা কখনো হতে পারেনা। অর্থাৎ মা জীবিত থাকা সত্ত্বেও বড় হয়ে ছেলে সন্তানটিই পরিবারের কর্তার পদে আসীন হয়। এধরনের সমাজের মা শারীরিক ভাবে সুস্থ একটি সন্তান ছাড়া সার্বিক ভাবে একটি সুস্থ সন্তান জাতিকে উপহার দিতে পারে কি?
এতো নেতিবাচক কথার পরে এবারে হতাশ না হয়ে কিছু ইতিবাচক দিক তুলে ধরা যাক। ইংরেজি ভাষার একটি প্রবাদ রয়েছে যার বাংলা করলে দাঁড়ায়-ঈশ্বরের পক্ষে বিশ্বের সর্বত্র উপস্হিত থাকা সম্ভব নয় এ কারণে তিনি মাকে সৃষ্টি করেছিলেন। আর ইসলাম ধর্মেও একটি হাদিস রয়েছে, মায়ের পায়ের তলায় বেহেস্ত। তাই ঈশ্বরের প্রতিনিধি বা পরকালে বেহেস্ত লাভের মাধ্যম এই মা স্বভাবতই দুর্নীতি মুক্ত সন্তান গঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারেন। একটি সৎ সন্তান গড়ার ক্ষেত্রে মায়ের সুযোগও সবচেয়ে বেশি। কারণ সন্তান শৈশব থেকেই মাকে ঘিরে বড় হয়। প্রসঙ্গত একটা পৌরাণিক কাহিনী উল্লেখ করছি। মাতা পার্বতীর সন্তান গণেশ ও কার্তিকের মধ্যে কে সবার আগে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে আসতে পারে তার প্রতিযোগিতা হল। কার্তিক পৃথিবী প্রদক্ষিণে বেড়িয়ে পড়ল আর গণেশ মা পার্বতীকে প্রদক্ষিণ করে নমস্কার করে বললো, “আমার পৃথিবী আমার মা। “হ্যা মা-ই সন্তানের পৃথিবী। মাটি যখন মোলায়েম থাকে তখন তাকে যেমন খুশি রূপ দেয়া সম্ভব। তাই শিশুর ক্ষেত্রে এ কাজটি মায়ের জন্য সহজতর। শৈশব থেকেই শিশুর মনমগজে যদি নৈতিক মূল্যবোধের বীজ বপন করা হয় তবে বড় হয়ে সে সৎ হতে বাধ্য। বড় পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ:)এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
বর্তমানে জীবনসংগ্রাম জটিলতর হওয়ায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়,সন্তানের লালনপালনের পাশাপাশি প্রাথমিক ও সহশিক্ষা বিকাশের দায়িত্ব মায়ের উপর বর্তাচ্ছে। এটা একটি শুভ লক্ষণ। তবে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও শিশুর মানসিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। যেমন সংসারে মায়ের সিদ্ধান্তের উপর শুধু গুরুত্বই নয় অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ ব্যাপারে মতানৈক্য দেখা দিলে শিশু সামনে নয় তার অগোচরে মাকে বোঝাতে হবে। অর্থাৎ শিশু যেন সর্বাবস্হায় তার মাকে সম্মানের আসনে দেখতে পায়। তবেই সে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। কারণ এ সন্তানই বড় হয়ে মা’র সার্বিক পথনির্দেশনায় হবে সুনাগরিক। অবশ্য মাকেও হতে হবে নৈতিক চরিত্রের অধিকারী,সদাসতর্ক,যত্নবান ও দায়িত্বশীল।
একথা বললে অত্যুক্তি হবে না, যে দেশের মা স্বাধীনতার জন্য সত্যের সংগ্রামে নিজের নিরস্ত্র সন্তানকে সসস্ত্র পাক-সেনাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে পাঠাতে পারেন সে মা নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অবশ্য অবশ্যই দেশের দুর্নীতি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
পরিশেষ আসুন,আমরা সবাই মিলে পাশ্চাত্যের আদর্শে নয় আমাদের শুভচিন্তক বেগম রোকেয়ার –আদর্শ মায়ের কোলে সুস্থ সন্তান, বাবার আদর্শ সন্তান, ভাইয়ের পাশে সুযোগ্য বোন, অর্ধাঙ্গের পাশে সুযোগ্য অর্ধাঙ্গী হওয়ার স্বপ্ন সফল করায় ব্রতী হই। আর তবে শুধু মাত্র তবেই দুর্নীতি প্রতিরোধে নয় দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ায় বিশ্ব এ দেশের মায়ের সর্বোপরি মানুষের ভূমিকার প্রশংসা গান গাইবে।#