দখলকৃত পশ্চিম তীরে আরও ৪ হাজার অবৈধ বসতি নির্মাণ করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। আগামী সপ্তাহেই দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায়ের পর এই ঘোষণা দিতে পারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে শঙ্কিত ১২টি আঞ্চলিক সম্প্রদায়। নিজ ভূখণ্ড হারানোর আতঙ্কে ফিলিস্তিনিরা। খবর আলজাজিরার।
খবরে বলা হয়, পশ্চিম তীরের বিস্তীর্ণ চারণভূমি শিগগিরই দখলে নিচ্ছে ইসরায়েল। বানানো হবে ইহুদি সেনাবাহিনীর মহড়া এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সিদ্ধান্তটির বিরুদ্ধে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিল ১২টি সম্প্রদায়। আভাস- সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ধোপে টিকবে না সেই আবেদন।
মাসাফের ইয়াত্তা পরিষদের প্রধান নিদাল ইউনিস বলেন, সুপ্রিম কোর্ট রায় ঘোষণার দু’সপ্তাহ আগেই ইসরায়েলি সেনাদের আনাগোনা বেড়েছে। পশ্চিমাঞ্চলে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। গেল কয়েকদিনে শিক্ষকদের বহনকারী ৪টি গাড়ি তারা বাজেয়াপ্ত করেছে। এমনকি বন্দি রয়েছেন শিক্ষকরাও। তাতে গোটা এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থা বিঘ্নিত। বোঝাই যাচ্ছে- ইসরায়েলিদের পক্ষে আদালতের সিদ্ধান্ত।
ইসরায়েলি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইঙ্গিত, পশ্চিম তীরের দক্ষিণাঞ্চলে আরও ৪ হাজার বসতি নির্মাণের অনুমতি দেয়া হবে। যা বেনেট প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর সর্বোচ্চ। তাতে শঙ্কিত সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা।
পশ্চিম তীরের এক বাসিন্দা বলেন, আমার ১৪টি সন্তান। যারা সবাই জিনবা সম্প্রদায়ের একমাত্র স্কুলে লেখাপড়া করছে। আমার পরিবার কখনোই বাইরে কোথাও যায়নি। আদালত ভূখণ্ড ছাড়ার নির্দেশ দিলে, কোথায় যাবো?
আরেকজন বলেন, কোনো বিকল্প পথ নেই। বর্বর ইসরায়েলি সরকার কোনোভাবেই আমাকে উৎখাত করতে পারবে না। প্রাণে মারলেও এখানেই কবর দিতে হবে মরদেহ। কারণ এই ভূখণ্ড আমাদের।
পূর্ব জেরুজালেম এবং পশ্চিম তীরের আড়াইশ’ বসতিতে বসবাস করেন ৬ থেকে সাড়ে ৭ লাখ ইহুদি। গেল সপ্তাহেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দু’দফায় নিশ্চিত করে ৩ হাজার ৯৮৮টি ঘরবাড়ি তৈরির অনুমোদনের বিষয়টি।