ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ায় “জনপ্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের” অভিযোগ এনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সারওয়ার আলমকে লঘুদণ্ড দিয়েছে সরকার। এতে আগামী এক বছর তার কোনো পদোন্নতি হবে না।
শুক্রবার (৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগ) ড. ফরিদউদ্দিন আহমেদের বরাত দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য ডেইলি স্টার।
ড. ফরিদউদ্দিন আহমেদ জানান, জনপ্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ ও অসদাচরণের অভিযোগে সারওয়ার আলমকে “তিরস্কার” সূচক লঘুদণ্ড দিয়ে গত ২১ এপ্রিল একটি আদেশ দেয় মন্ত্রণালয়। কাউকে “তিরস্কার” করা হলে ১ বছরের মধ্যে তার পদোন্নতি বিবেচনা করা হয় না।
আদেশে বলা হয়, সারওয়ার আলম গত বছরের ৮ মার্চ তার ফেসবুক আইডিতে “চাকরি জীবনে যে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন তাদের বেশিরভাগই চাকরিজীবনে পদে পদে বঞ্চিত ও নিগৃহীত হয়েছেন এবং এদেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটাই অন্যায়” মন্তব্য করে অকর্মকর্তাসুলভ আচরণ করেছেন এবং এতে জনপ্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
আদেশে আরও বলা হয়, একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে সরকার ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এ ধরনের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করার কারণে গত বছরের ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সারওয়ার আলম মন্তব্যের বিষয়টি স্বীকার করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব ড. ফরিদউদ্দিন আহমেদ জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার (মো. সারওয়ার আলম) শাস্তি হয়েছে। এখানে দুই ধরনের শাস্তির বিধান আছে- লঘুদণ্ড ও গুরুদণ্ড। লঘুদণ্ডের সর্বনিম্ন শাস্তি হিসেবে তাকে “তিরস্কার” করা হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে তার আপিল করার সুযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সিনিয়র সহকারী সচিব সারওয়ার আলমের সঙ্গে কয়েকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।