নতুন জীবন
শোক, দুঃখ মারতে চেয়েছে বারবার
আমি নদী পাহাড়ে গিয়েছি
ভুলবার জন্য।
পালিয়ে গিয়ে পালাতে চেয়েছি
পৌঁছতে গিয়ে পৌঁছেই দেখি
পথ আরো সুদূরে মেলালো
আমি আগুনকে জ্বলতে না দিয়ে
আগুন রেখে দুরে থেকেছি
আমি মরণকে না মেরে
বাঁচতে চেয়েছি
আমার যন্ত্রণা যা সব নিজের
কেউ এসে নিবিয়ে দেবে না
সত্যের সামনে দাঁড়িয়ে যেদিন
দুহাতে আঁকড়ে ধরে আঁধার পেরিয়ে
নতুন জীবনের আলোয়…
সেদিন পাবো পথের দেখা।
চলে যাবো
তুমি আমাকে দিলে প্রশ্রয়
তবে কেন হলো না আশ্রয়!
তুমি শিখিয়েছো অপেক্ষা
তবে কেন দিলে এ-প্রাণে উপেক্ষা!
এবার দেখো চলে যাবো দূরে
নৌকো ভিড়েছে তো বটের ছায়ায় তীরে
মাঝি হয়ে চলে যাবো নীড় ছেড়ে
দেখো চলে যাবো কী হবে আর ফিরে!
দেখো চলে যাবো উনুন ভেঙে
ভুলে যেয়ো একদিন আমি এসেছিলাম।
সুখ দিলে সুখ পাবে
কে বলেছে এতো সহ্য করতে তোমায়
এতো দূরে এসে বেপুথো সুরে ভাসলে!
তবে সব কি মায়া, নাকি ছলনা !
তাই যদি হয়,কে বলেছিল আগুন নিয়ে খেলা
আমার পুড়েছে হাত,পা,এবার দেহ দেবো তুলে
ছাই হয়ে নিববে যখন
সেদিনই বুঝবে তখন
সুখ দিলে সুখই পাবে যেমন
দুঃখ দিলে দুঃখ পাবে প্রিয় ।
ছাই
একটা বয়েসের পর মানুষ
কেমন যেন দার্শনিকের মতো
দার্শনিক হয়।
একটা বয়েসের পর সবাই
কেমন যেন সন্যাসী ভাব
উদাসীন রাজা।
আসলে এসব কিছু নয়
মনের মধ্যে পুরোন স্মৃতি
সময়ের ডাক।
না হওয়ার, না পাওয়ার
বেদনাগুলো শান্ত নির্জন দীঘি
নীরব হাহাকারের ক্রন্দন।
একটা জীবনে চারটি জীবন লাগে
শুধু ছাই হয়ে
জেগে উঠতেই যতটুকু।
জীবন নদীর ঢেউ
অনেকদিন থেকে গেলে পর
সব কিছুই বেশি পাওয়া
যখন সময় থাকে হাতে
কারুর আর মনে থাকে না।
অনেকদিন থাকলে পর
অনেকেই দূরে চলে যায়
কেউ কেউ চোখের আড়ালে,দূর দেশে
জীবন নদীর ঢেউ ছুঁয়ে যায়।
উদাস বাউল
সবাই ভাবে উদাস বাউল
একা একা হেঁটে যায় পথে
মনের আনন্দে খোঁজে কারে
পায় না বলে বিভোর থাকে
আমি যে কোথায় পাবো তারে!