প্রত্যাশার সঙ্গে যেন প্রাপ্তিরই দেখা হয়ে গেল। ভিলারিয়ালের জন্য লড়াইটা ছিল দারুণ কঠিন। প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতে এগিয়েই ছিল লিভারপুল। সেই ধারাবাহিকতাটাই ধরে রেখেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের জায়ান্টরা। দ্বিতীয় লেগেও জয়। দুইয়ে মিলে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পা রেখেছে লিভারপুল।
ভিলারিয়ালের মাঠে মঙ্গলবার রাতে সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লিভারপুল জিতেছে ৩-২ গোলে। তার পথ ধরে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ গোলে এগিয়ে প্যারিসে ফাইনালের টিকেট পাওয়া হয়ে গেল মোহাম্মদ সালাহদের। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে- এক মৌসুমে চার শিরোপা জয়ের পথে এখন চেলসি।
ইয়ুর্গেন ক্লপের দল অবশ্য মঙ্গলবার রাতে শুরুতে পিছিয়ে পড়ে, ০-২ গোলে। গোল করেন ভিলারিয়ালের বোলায়ে দিয়া ও ফ্রান্সিস কোকেলিন। কিন্তু লিভারপুল সব চমক জমা রেখেছিল দ্বিতীয়ার্ধের জন্য। তারা ১২ মিনিটের ম্যাজিকে উড়িয়ে দেয় প্রতিপক্ষকে। লিভারপুলের হয়ে সেই তিন গোল করেন ফাবিনিয়ো, লুইস দিয়াস আর সাদিও মানে।
এনিয়ে লিভারপুল পাঁচ মৌসুমের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো উঠল ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ অথবা ম্যানচেস্টার সিটি। বুধবার রাতে লড়বে এই দুই জায়ান্ট। তাদের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা দলের সঙ্গেই ২৮ মে ফাইনালে নামবে লিভারপুল। প্রথম লেগে ৪-৩ গোলে জিতে ম্যানসিটি কিছুটা এগিয়ে। তবে তারা ম্যাচটি খেলতে নামবে করিম বেনজেমাদের মাঠে, মাদ্রিদে!
মঙ্গলবার রাতে ভিলারিয়ালের শুরুটা ছিল অসাধারণ! খেলা যখন তৃতীয় মিনিটে তখনই দলকে এগিয়ে দেন স্প্যানিশ ক্লাবটির সেনেগালের ফরোয়ার্ড দিয়া। এরপর ৪১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ভিয়ারিয়াল। গোলদাতা কোকেলিন। ব্যস, স্বতি ফেরে ভিলারিয়াল শিবিরে। দুই লেগ মিলিয়ে তখন ২-২ সমতা। কিন্তু কে জানতো দ্বিতীয়ার্ধে এতো চমক বাকি!