ঢাকার কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে অনুষ্ঠিত হলো ঈদুল ফিতরের জামাত। এলাকার বাসিন্দারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঈদের জামাতে অংশ নেন। মঙ্গলবার (৩ মে) সকাল ৮টায় তেঁতুলতলা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কয়েক হাজার মুসল্লি জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে মাঠে টানানো হয় সামিয়ানা। বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা হয় অবকাঠামো। সকাল থেকেই আসতে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। তাদের সঙ্গে আসে শিশুরাও।
ঈদের জামাতে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনার কারণে মাঠটিতে দুই বছর বন্ধ ছিল ঈদের জামাত। এবার এখানে থানা ভবন নির্মাণ হলে আর কখনোই এখানে ঈদের জামাত হতো না।
মাঠে ঈদ জামাত আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একেএম কামরুজ্জামান বলেন, মাঠটি যে শিশুদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে, তাতেই আমরা অনেক খুশি। সবকিছুর পরে আমরা এ মাঠে ঈদের জামাত আদায় করতে পেরে খুশি।
ঈদের জামাত আদায় শেষে আরেক মুসল্লী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঠটি আমাদের নতুন করে আবার বরাদ্দ দিয়েছেন। মাঠটি এখন আগের থেকেও বেশি স্থায়ী হয়ে গেছে এলাকাবাসীর জন্য। মাঠে যেমন ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করে, তেমনি এই মাঠে ধর্মীয় থেকে শুরু করে নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মুসল্লিরা আরও জানান, মাঠটি দখল মুক্ত হওয়ায় এলাকার সবাই খুশি। খুশিতে এবার রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লিরা ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেছেন এ মাঠে। এর আগে এই মাঠে এত মানুষ একসঙ্গে ঈদের জামাত আদায় করেননি।
রাজধানীর কলাবাগান এলাকার তেঁতুলতলা মাঠে পুলিশের জন্য থানা ভবন নির্মাণের কথা ছিল। তবে মাঠটি রক্ষার দাবিতে অনেক দিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন স্থানীয়রা। এর মধ্যে গত ২৪ এপ্রিল মাঠটি রক্ষার দাবিতে আন্দোলনকারী সৈয়দা রত্না ফেসবুক লাইভ করার সময় কলাবাগান থানা পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়।
এরপর তার ছেলেকেও আটক করা হয়। ১৩ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখার পর ওইদিন মধ্যরাতে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ২৮ এপ্রিল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে আর কোনো ভবন হবে না। মাঠ যেভাবে ছিল সেভাবেই থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পরামর্শ দিয়েছেন।