ঈদ উপলক্ষে রাঙামাটি ও সাজেকের প্রায় সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টের রুমগুলো অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। গত ২০ থেকে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে এসব হোটেল-রিসোর্ট বুকিং হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০১৭ সালে ভয়াবহ পাহাড়ধস ও পরবর্তীতে দুই বছর করোনাভাইরাসের কারণে রাঙামাটিতে পর্যটন ব্যবসায় যে ধস নেমেছে, সেটি এবার পুষিয়ে নেওয়া যাবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, রাঙামাটি জেলা শহরে ৫৫টি আবাসিক হোটেল-মোটেল আছে। গত ২০ থেকে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে ৮০% কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। এর মধ্যে ভালো মানের হোটেল-কটেজগুলোতে কোনো কক্ষ খালি নেই। এসব হোটেল-মোটেলে দৈনিক পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ থাকতে পারবেন।
রাঙামাটি আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মো. মঈন উদ্দিন সেলিম জানান, ঈদ-উল-ফিতর ও সাপ্তাহিক টানা ছুটিতে জেলার হোটেলগুলোর ৮০% কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়েছে। এ বছর এত মানুষ অগ্রিম কক্ষ বুকিং নেবেন সেটি তারা আশাও করেননি। পাহাড়ধসের পর থেকে লোকসান কিছু পুষিয়ে নেওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, “অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ঈদ-উল-ফিতরের ছুটিতে বেশি কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়েছে। আমাদেরও ৯০% কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।”
এদিকে সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ৫, ৬ ও ৭ মের জন্য সাজেকের রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রের ১৩০টির মতো রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ অগ্রিম ভাড়া হয়ে গেছে। তবে ঈদের আগের দিনগুলোর জন্য বুকিং হয়েছে ৫০% কক্ষ। সাজেকে এসব রিসোর্ট-কটেজে দৈনিক সাড়ে তিন হাজারের বেশি পর্যটক থাকতে পারেন। এ ছাড়া বিভিন্ন বাড়ি ও তাবুতে বেশ কিছু পর্যটক রাত্রি যাপন করেন।
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জেরি লুসাই জানান, ঈদের ছুটি উপলক্ষে তাদের রিসোর্ট-কটেজের টানা তিন দিন সব কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। আগামী ৫, ৬ ও ৭ মে রিসোর্ট-কটেজগুলোতে কোনো কক্ষ খালি নেই।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন জানান, ঈদের ছুটি উপলক্ষে রাঙামাটিতে আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলোর প্রায় সব কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। তারা আশা করছেন এবার ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়বে। সেজন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শহরের বিভিন্ন স্থান ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।