করোনাভাইরাস বিধিনিষেধের কারণে গত দুই বছরে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কোভিডের প্রকোপ কমে আসায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকা সাপেক্ষে আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরে আবারও জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে সমবেত হতে পারবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ঈদের দিন সেখানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ পরিদর্শনকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানান, জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের জামাতে অংশ নিতে পারবেন।
ডিএনসিসি মেয়র আশ্বস্ত করে বলেন, “জাতীয় ঈদগাহে নিখুঁত নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কাজ করবে। আমরা মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরির লক্ষ্য নিয়েছি।”
দুই বছর পর আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের জামাত আয়োজনে জাতীয় ঈদগাহে চলছে জোর প্রস্তুতি। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সতর্কতার অংশ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা মাস্ক পরিধান এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তত্ত্বাবধানে ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুত করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিয়ারো সরদার অ্যান্ড সন্স। তারা ইতোমধ্যেই প্যান্ডেল তৈরি করেছে। পাশাপাশি ছাউনি আর ক্যানভাস স্থাপনের কাজ করছে। এছাড়া, জাতীয় ঈদগাহ ও এর আশেপাশে লাউডস্পিকার স্থাপনের কাজও করছে তারা।
গরমে মুসল্লিদের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য সিলিং ফ্যান ও প্যাডেস্টাল ফ্যান বসানো হবে। এছাড়া, ওজুর ব্যবস্থাসহ মোবাইল টয়লেটও স্থাপন করা হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে চারদিকে সিসিটিভি ক্যামেরাও বসানো হচ্ছে।
রবিবার (১ মে) মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণে বৈঠকে বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২ বা ৩ মে (সোমবার বা মঙ্গলবার) ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত হবে।