দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা এনে অঙ্গহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে রাজধানীর মক্কা মদিনা হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
অ্যাম্বুলেন্স চালকদের যোগসাজশে কুমিল্লায় আহতদের রাজধানীর শ্যামলীর মক্কা-মদিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরপর রোগীর স্বজনদের নানা রকমের ভয়-ভীতি দেখিয়ে অপারেশন করা হয়। এতে বেশিরভাগ রোগীরই অঙ্গহানির ঘটনা ঘটছে। ওই হাসপাতালে ভর্তি দুই রোগীর স্বজনেরা এমনই অভিযোগ করেছেন। তারা মনে করছেন এটি কোনো চক্রের কাজ।
মোহাম্মদ ফারুক পেশায় একজন শ্রমিক। কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে আসা হয় ঢাকায়।
অ্যাম্বুলেন্স চালকের জোরাজুরিতে ভর্তি করা হয় মক্কা-মদিনা হাসপাতালে। এরপর রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনদের ভয়ভীতি দেখিয়ে করা হয় অপারেশন। কেটে ফেলা হয় রোগীর পা।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হয়ে পা হারিয়ে দিশেহারা ফারুক। তার স্বজনেরাও বলছেন, পা কেটে ফেলার ব্যাপারে আগে থেকে সেভাবে তাদের জানানো হয়নি।
ঠিক একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে হাসপাতালে ভর্তি আরেক রোগীর ক্ষেত্রেও। তার নাম রবিউল ইসলাম পেশায় ট্রাক চালক। শুক্রবার কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে অ্যাম্বুলেন্স চালকের চাপাচাপিতে তাকেও ভর্তি করা হয় এই হাসপাতালে।
এ বিষয়ে রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা, মাসুমা পারভিন সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে, জানা যায় তিনি সেহরি খেতে বাসায় গেছেন। পরে টেলিফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তাদের হাসপাতালে বেশিরভাগ রোগীই আসে কুমিল্লা ও নোয়াখালী থেকে।
ভর্তি রোগীদের একজনের রক্তনালী বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং অপরজনের খাদ্যনালীতে সমস্যা হওয়ায় অপারেশন করতে হয়েছে।
দুই রোগীর স্বজনদেরই ধারনা ঘটনাগুলো কাকতালীয় নয়, বরং এসবের পেছনে জড়িত আছে একটি প্রতারক চক্র। তাই এসব ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তও দাবি করেছেন তারা।
সংবাদ সূত্র: একাত্তর টেলিভিশন।