ইউক্রেনে লড়ছে রুশ বাহিনী। তাই শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে রাশিয়া ব্যবহার করছে প্রশিক্ষিত ডলফিন। কৃষ্ণসাগরের নৌঘাঁটিতে ডলফিন মোতায়েনের চিত্র স্যাটেলাইট ছবিতে ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। পানির নিচের হামলা থেকে রুশ নৌবহরকে রক্ষায় জন্য মস্কো এ পদক্ষেপ নিয়ে থাকতে পারে।
সিভাস্তোপোল পোতাশ্রয়ের স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে ইউএস নেভাল ইনস্টিটউট (ইউএসএনআই) নিশ্চিত হয়েছে, মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর দিকেই (ফেব্রুয়ারি) দুটি ডলফিন ওই নৌঘাঁটিতে মোতায়েন করেছে।
সামরিক উদ্দেশ্যে ডলফিনকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার রাশিয়ার পুরোনো ইতিহাস রয়েছে। তারা জলজ স্তন্যপায়ীকে কোনো ক্ষতিকর বস্তু উদ্ধার বা শত্রুপক্ষের ডুবুরিদের প্রতিহত করতে ব্যবহার করেছে।
সিভাস্তোপোল নৌঘাঁটি রাশিয়ার সেনাবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি ক্রিমিয়ার দক্ষিণে অবস্থিত। রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নেয়। ইউএসএনআইর বিশ্লেষণ অনুযায়ী অনেক রুশ জাহাজ এখানে নোঙর করে। জায়গাটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সীমানার বাইরে হলেও সমুদ্রের নিচ থেকে হামলার ঝুঁকি রয়েছে।
কেবল রাশিয়া নয়, ইউক্রেনও সিভাস্তোপোলের কাছে একটি অ্যাকুয়ারিয়ামে ডলফিনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ১৯৯০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন যুগে চালু হওয়া ওই প্রকল্প এত দিন গুরুত্বহীন ছিল। স্নায়ুযুদ্ধের সময়, যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন উভয়ই ডলফিন প্রকল্প চালু করে, যা পানির নিচে মাইনের মতো কোনো বস্তু থেকে প্রতিধ্বনিত হওয়া শব্দ শনাক্ত করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রও নিজস্ব ডলফিন ও সি লায়ন বাহিনী গড়ে তুলতে কমপক্ষে ২ কোটি ৮০ লাখ ডলার ব্যয় করেছে। ডলফিন ও সি লায়ন উভয়কেই প্রশিক্ষণ দিয়ে যুদ্ধের সময় সম্ভাব্য সাহায্যে কাজে লাগানো যায়।
ইউক্রেনের নৌবাহিনী ২০১২ সালে সিভাস্তোপোল প্রকল্পটি নতুন করে চালু করে। কিন্তু ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া আক্রমণের সময় স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলো রাশিয়ার হাতে ধরা পড়ে।