৮ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং অবিলম্বে কাজে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে মার্চ মাস থেকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির শ্রমিক ও কর্মচারীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২৭ এপ্রিল) থেকে সপরিবারে খনির প্রবেশ পথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকেরা। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবারও দ্বিতীয় দিনের মতো তাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত ছিল।
করোনাভাইরাস মহামারির সময় থেকে দুই বছর ধরে খনির (কম্পাউন্ডে) অভ্যন্তরে বিশেষ ব্যবস্থায় আটক রেখে কয়লা তোলানোর প্রতিবাদে (খনি সীমারা প্রাচীরের ভেতরে) আরও ৪০০ শ্রমিক বিক্ষোভ করছে। বাড়ি থেকে যাতায়াত করে কাজ করার দাবি জানাচ্ছেন তারা।
কয়লাখনি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম জানান, তিনটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি, এক্সএমসি, ও জেএক্সএমসির অধীনে আউটসোর্সিংয়ে খনিতে প্রায় ১১০০ দেশি শ্রমিক কয়লা তোলার কাজ করে থাকে। এর মধ্যে ৭০০ শ্রমিককে কোভিড মহামারিকালীন ছুটিতে পাঠানোর সময় মাসে সাড়ে ৪ হাজার করে টাকা ভাতা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ৮ মাস ধরে তারা ওই ভাতার টাকা পাচ্ছেন না। ঈদের আগে ওই বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান এবং কাজে যোগদানের দাবিতে তারা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
অন্যদিকে, করোনাভাইরাসের সময় থেকে দুই বছর ধরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে খনি এলাকায় আটকে রেখে ৪০০ শ্রমিককে কয়লা তুলতে বাধ্য করছে চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। খনির বাইরে বের হওয়া এবং পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগের দাবিতে ওই শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান জানান, এক দিকে কাজ বঞ্চিত শ্রমিকেরা খনিতে প্রবেশসহ কাজে যোগদানের দাবিতে খনির প্রবেশ পথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। অন্যদিকে, খনিতে আটকে রাখার প্রতিবাদে আটক শ্রমিকেরা নেটের বেড়ায় বন্দী অবস্থায়ই বিক্ষোভ করছে।