টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বেতন ও বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে পোশাক শ্রমিকরা। এ সময় শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলম চাঁদসহ কমপক্ষে ৫০ জন শ্রমিক-পুলিশ আহত হয়েছে
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে গোড়াই শিল্পাঞ্চল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় শ্রমিকরা দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। ফলে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ ৪১ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দেড় ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে ওই এলাকার নাহিদ কটন মিলের শ্রমিকরা বকেয়া বেতন ও বোনাদের দাবি করে আসছিল। কিন্তু মালিকপক্ষ তাদের অর্ধেক মাসের বেতন ও অর্ধেক বোনাস দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হন শ্রমিকরা। পরে তারা বিক্ষোভ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
গোড়াই কটন মিলের ৭নং ইউনিটের শ্রমিক শাকিল বলেন, “মিল কর্তৃপক্ষ আমাদের অর্ধেক মাসের বেতন ও অর্ধেক বোনাস দিতে চায়। কিন্ত আমরা পুরো মাসের বেতন ও বোনাস দাবি করি। এ নিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ এসে তাদের ওপর লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে প্রায় ৫০ জন শ্রমিক আহত হয়েছে।”
এ বিষয়ে মির্জাপুর ওসি আলম চাঁদ বলেন, “পুরো মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস নাহিদ কটন মিলের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছিল। শ্রমিকদের বুঝিয়ে বললে তারা সড়ক ছেড়ে দিলেও কিছু অতি উৎসাহী শ্রমিক ইটপাটকেল ছোড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটাসহ শটগানের গুলি ছুড়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।“
নাহিদ কটন মিলের জেনারেল ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন, “শ্রমিকদের ঈদ বোনাস তিন দিন আগেই দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবিকৃত চলতি মাসের মাসের পুরো বেতনও দিয়ে দেওয়া হবে।”
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহম্মদ বলেন, বেতন ও বোনাসর দাবিতে শ্রমিকরা মহাসড়কে অবস্থান করে। পরে তারা গাড়িতে ঢিল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ ৪১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”