রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় হেলমেট মাথায় দিয়ে যারা হামলা করেছিল তাদের “সন্ত্রাসী” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ডিবির (দক্ষিণ) যুগ্ম-কমিশনার মাহবুব আলম।
সংঘর্ষে জড়িত হেলমেটধারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
চিহ্নিতদের মধ্যে ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী ছিল কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মাহবুব আলম বলেন, “ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। যারা হেলমেট পরে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল তারা সবাই সন্ত্রাসী। তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।”
গ্রেপ্তারে বিলম্ব হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “ঢাকা কলেজের হোস্টেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই বাড়ি চলে গেছেন অথবা আত্মগোপনে আছেন। তবে ডিবির একাধিক টিম তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শিগগিরই এ বিষয়ে ভালো ফল জানানো হবে।”
গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন,“দোকান কর্মচারী মুরসালিনের হত্যাকারীদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। তার মৃত্যু ঘটেছে ইটের আঘাতে। যারা ইটপাটকেল ছুড়েছে তাদের থেকে হত্যাকারী চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া নাহিদ হত্যার ভিডিও ফুটেজ দেখে হত্যাকারী শনাক্তের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।”
এর আগে, গত ১৮ এপ্রিল রাতে দুটি ফাস্ট ফুডের দোকানের কর্মচারীদের মধ্যে ঝগড়ার জের ধরে পরদিন নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্র ও দোকানদারদের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। পরে ১৯ ও ২১ এপ্রিল ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান আহত দুই ব্যক্তি-একটি প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারিম্যান হিসেবে কর্মরত নাহিদ হাসান ও অপর এক দোকানের কর্মচারী মোরসালিন।
সহিংসতার ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় পুলিশকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লাঞ্ছিত করা এবং সম্পত্তির ক্ষতি করার অভিযোগে মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।