সামরিক অভিযানের শুরুর দিকে ইউক্রেনের চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রুশ বাহিনীর অভিযানের তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসির সঙ্গে কিয়েভে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিপর্যয়ের ৩৬তম বার্ষিকীতে কিয়েভে সফর করেন আইএইএ’র মহাপরিচালক। চেরনোবিল পরিদর্শনও করেন তিনি। সাক্ষাৎ হয় জেলেনস্কির সঙ্গে। পরে সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, আজ চেরোনবিল পারমাণবিক বিপর্যয়ের ৩৬তম বার্ষিকী। রুশ সেনারা সেখানে প্রবেশ করায় আবারও একটি দুর্যোগ থেকে বিশ্ব মাত্র এক ধাপ দূরে ছিল। কারণ তারা অভিযান চালায় এবং যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কোনও সুরক্ষা নেয়নি।
প্ল্যান্টের বেশ কয়েকটি এলাকায় রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে লুটপাট এবং ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ এনেছেন জেলেনস্কি। যদিও রাশিয়ার বাহিনী এখন চেরনোবিল ছেড়ে যাওয়ায় আবারও দখলে নিয়েছে ইউক্রেন।
রাশিয়ার অসতর্কতাই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ইঙ্গিত দেয় বলে সতর্কও করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। বলেন, আমরা বিশ্বাস করি পারমাণবিক শক্তিকে অস্ত্রে পরিণত করার পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে বিশ্বকে ব্ল্যাকমেইল করার অধিকার রাশিয়ার নেই।
উল্লেখ্য, বিশ্বের ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল এই চেরনোবিলে। এটি চেরনোবিল বিপর্যয় নামে ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। ১৯৮৬ সালের এপ্রিলে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। একটি পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর বিস্ফোরিত হলে এই দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়। ফলে ইউরোপজুড়ে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানী কিয়েভ থেকে উত্তর দিকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে এই কেন্দ্রটি অবস্থিত।