চুরি ও জুয়ার অভ্যাস থাকায় স্বামীর সংসার করতে রাজি ছিলেন না ফারজানা (২৯)। এ কথা জানানোয় ফারজানাকে হত্যা করে তার স্বামী মো. ইকবাল হোসেন।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) কুমিল্লা সদর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। রবিবার তার মরদেহ উদ্ধারের পর সোমবার ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে ইকবালকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ইকবালকে প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
এর আগে, কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে মামলার এজাহারভুক্ত ২, ৩ এবং ৬ নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারান হলো- মো. মোক্তার হোসেন , কাজী মো. আ. হাকিম এবং মো. আনোয়ার হোসেন(৫২)। তাদের সবার বাড়ি অলিপুর (উত্তর কাছার)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মূল অভিযুক্ত ইকবাল জানায়, চুরি ও জুয়া খেলা তার নেশা। কিছুদিন আগে একটি অটোরিকশা চুরির ঘটনায় তাকে জেলে পাঠায় পুলিশ। সে স্ত্রী ফারজানাকে বলে জামিনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু ফারজানা জামিন করাতে ব্যর্থ হয়ে বাবার বাড়ি চলে যান।
অন্যদের সহায়তায় জামিনে বেরিয়ে ইকবাল তার স্ত্রীর কাছে বাবার বাড়ি চলে যাওয়ার কারণ জানতে চায়। জবাবে ফারজানা চোর-জুয়াড়ির সঙ্গে সংসার করতে অস্বীকৃতি জানান।
এরপর ইকবাল ফারজানাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় সাত মাস বয়সী মেয়ের জন্য ঈদের জামা কেনার কথা বলে স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসে ইকবাল। জনমানবহীন একটি রাস্তায় নিয়ে গিয়ে ইট দিয়ে থেঁতলে দিয়ে ফারজানাকে হত্যা করা হয়।
ইকবালকে গ্রেপ্তারের পর কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমান জানান, ইকবালের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
রবিবার (২৪ এপ্রিল) কুমিল্লা সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের মস্তফাপুর (কাছার) এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বিলের মাঝে গৃহবধূ মোসা. ফারজানা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ফারজানার বাবা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।