ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী মারিন লে পেনের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে পুলিশের। রোববার মধ্যরাতের পর প্যারিসের কেন্দ্রীয় এলাকা শ্যাটেলেটে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়ান লে পেনের সমর্থকরা।
একই সময়ে প্যারিসের সিন নদীর সবচেয়ে পুরনো সেতু পন্ট নিউফেও বিক্ষোভ শুরু হয়। সে সময় একটি গাড়ি পুলিশের দিকে তেড়ে আসতে শুরু করলে আত্মরক্ষায় গাড়িটি লক্ষ্য করে গুলি করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্য। এতে গাড়ির ভেতর থাকা তিনজনের মধ্যে দু’জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন, আহত হন আরও একজন।
এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রোববার মধ্যরাতের পর নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হলে প্যারিসের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন লে পেনের সমর্থকরা। এসবের মধ্যে শ্যাটেলেট এলাকার বিক্ষোভ ছিল সবচেয়ে বড়। এই এলাকার বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েকটি টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ।
কাছাকাছি সময়েই পন্ট নিউফেও বিক্ষোভ শুরু হয়। পন্ট নিউফের যে এলাকায় বিক্ষোভকরীরা জড়ো হয়েছিলেন, তার মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে চ্যাম্প ডি মার্স পার্কে নিজের সমর্থকদের সঙ্গে নির্বাচনের বিজয় উদযাপন করছিলেন ম্যাক্রোঁ।
ফ্রান্সের কট্টর ডানপন্থী নেত্রী মারিন লে পেনকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ফরাসি গণমাধ্যমের হিসাব অনুযায়ী, ম্যাক্রোঁ পেয়েছেন ৫৮ শতাংশ ভোট এবং তার প্রতিপক্ষ মারিন লে পেন পেয়েছেন ৪২ শতাংশ ভোট।
তবে ম্যাক্রোঁ জয়ী হলেও এবারের নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয় কম। সরকারি জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর এবারই সবচেয়ে কম সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে।