দেশের ভোজ্যতেলের বাজারে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। মাত্র দুই দিনে প্রতি মণে (৩৭.৩২ কিলোগ্রাম) অস্বাভাবিকভাবে ৫০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও
সোমবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীতে খোলা সয়াবিন তেল পাইকারিতে বিক্রি হয়েছে ১৯২-১৯৫ টাকা কেজি দরে, খুচরায় বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা দরে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিশ্বের বৃহত্তম পাম তেল রপ্তানিকারক দেশ ইন্দোনেশিয়া সম্প্রতি সব ধরনের ভোজ্যতেল রপ্তানি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার এই ঘোষণার পরপরই দেশের পাইকারি বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় এই বৃদ্ধি বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা।
এর আগে, দেশের ভোজ্য তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার দুই দফায় আমদানি ও উৎপাদনের ওপর ৩০% মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) মওকুফ করলেও গত সপ্তাহ থেকে আবারও বাড়তে শুরু করেছে পাম ও সয়াবিন তেলের দাম।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২২ এপ্রিল) ইন্দোনেশিয়া সরকার স্থানীয় চাহিদা মেটাতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশ্বব্যাপী পাম তেল রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়।
এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা খাতুনগঞ্জ ও মৌলভীবাজার থেকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী তেল কিনতে পারেনি।
খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহ সংকটে অনিশ্চয়তার কারণে ভোজ্যতেলের পাইকারি দাম বেড়েছে।
দেশের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে গত রবিবারের তুলনায় পাম তেলের দাম মণপ্রতি ৫০০ টাকা বেশি বেড়েছে।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) এসও (সরবরাহ আদেশ) পর্যায়ে সীমিত পরিসরে পাম তেল বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ ৬ হাজার ১৫০ থেকে ৬ হাজার ২০০ টাকায়।
তাছাড়া পাইকারি পর্যায়ে (মিল গেট থেকে তোলা রান্নার তেল) দাম ছিল প্রতি মণ ৭ হাজার টাকা।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে ভোজ্য তেলের বেচাকেনা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরু হলেও আগের দিনের চেয়ে মণপ্রতি ৫০০ টাকা বেশি ছিল। এক দিনে ৫০০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কমেছে বলে জানান তিনি।