মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। এ উৎসবকে ঘিরে সবার মধ্যে থাকে নানা আয়োজন ও পরিকল্পনা। ঈদে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বেড়াতে যাওয়ার আগাম প্রস্তুতি ভ্রমণ পিপাসুরা সবসময়ই নিয়ে থাকেন। আবার যদি লম্বা ছুটি থাকে, তাহলে তো কথাই নেই।
আসন্ন ঈদুল ফিতর ও সরকারি লম্বা ছুটিকে সামনে রেখে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে অগ্রিম হোটেল বুকিং। নিজেদের প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
কুয়াকাটার প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলোর ৬০-৭০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোর ৫০-৬০ শতাংশ রুম অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল জহিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, পুরো রমজান মাসজুড়ে পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা। সেই সুযোগে হোটেল-মোটেলগুলো পরিপাটি করে তাদের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে। আগামী ১ মে থেকে টানা ছুটিতে লাখো পর্যটকদের আগমন ঘটবে কুয়াকাটায় এমনটাই আশাবাদী আমরা।
এদিকে সৈকতে দীর্ঘদিন পর্যটক কম থাকায় পুরো সৈকতজুড়ে তৈরি হয়েছে ভিন্নতা। শীত মৌসুমের শেষে সৈকতে উঁচু ডেউ, জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য ও বর্ষার আমেজ উপভোগে অনেকেই ছুটে আসবেন কুয়াকাটায় এমনটাই ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কেএম বাচ্চু জানান, পর্যটকদের আগাম সম্ভাবনাকে ঘিরে আমরাও প্রস্তুতি নিয়েছি যাতে পর্যটকদের পুরোপুরি সেবা ও বিনোদন দিতে পারি। ইতোমধ্যে ট্যুর অপারেটরদের কাছেও অনেকগুলো বুকিং আসছে, আশা করছি কুয়াকাটায় পুরোপুরি বুকিং হয়ে যাবে ঈদের আগেই।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, সারা বছরই পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে থাকে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। এছাড়াও বিশেষ দিনগুলোতে আমাদের বাড়তি নিরাপত্তা থাকে। আসন্ন ঈদ ঘিরেও আমাদের বিভিন্ন টিম তৈরি রয়েছে।
কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের রাত্রিযাপনের ধারণক্ষমতা ১৫ হাজার থাকলেও ঈদের বন্ধে এর চেয়ে দ্বিগুণ পর্যটকদের উপস্থিতি থাকবে বলে মনে করেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।