যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের কিয়েভ সফরের পর ইউক্রেনকে অতিরিক্ত ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সামরিক অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে। আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ প্রথম মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তারা যুদ্ধ বিধ্বস্ত পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে সফর করলেন। তবে এর অর্থ এ নয় যে— যুক্তরাষ্ট্র এ যুদ্ধে সরাসরি সম্পৃক্ত হচ্ছে।
মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানায় বিবিসি।
সম্প্রতি ওয়াশিংটন জানায়, ব্লিনকেন ও অস্টিন রোববার কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সফর শেষ করে এখন তারা অবস্থান করছেন ইউক্রেনের ভূখণ্ডের বাইরে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তার বরাতে সিএনএন জানায়, এ সফরে ব্লিনকেন ও অস্টিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পাশাপাশি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেস্কি রেজনিকভ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিস মোনাস্টিরস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহের ক্ষেত্রে এ সহযোগিতার মাত্রা আরও বেশি।
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এ ব্যাপারে অত্যন্ত পরিষ্কার অবস্থান নিয়েছেন তা হলো— ইউক্রেনে কোনো মার্কিন সেনা যুদ্ধ করবে না। এর মধ্যে ইউক্রেনের আকাশও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
‘শীর্ষ কর্মকর্তাদের সফর মার্কিন বাহিনীর জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেয় না’, যোগ করেন তিনি।
রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বারবার তার দেশের আকাশে সামরিক জোট ন্যাটোকে নো-ফ্লাই জো বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তার আবেদনে সাড়া দেয়নি সামরিক জোটটি।
ইউক্রেনে ২৪ ফেব্রুয়ারি আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এর পর থেকে স্থল ও আকাশ পথ ব্যবহার করে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে মস্কো।