বক্তব্যে খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতি ‘‘শ্রদ্ধা’’ জানিয়ে সমালোচনার শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
বুধবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।
ঢাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বিষয়টি নিশ্চত করেন।
এ সিদ্ধান্তের ফলে অধ্যাপক মো. রহমত আর আইন অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। একইভাবে কোনো একাডেমিক দায়িত্বও পালন করতে পারবেন না তিনি।
এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এসএম মাকসুদ কামালকে।
উপ উপাচার্য সামাদ বলেন, “সিন্ডিকেট সভায় ওই বক্তব্যের ওপর নিন্দা প্রস্তাব করা হয়েছে। পরে ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামালকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
তিনি জানান, তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে অধ্যাপক রহমত উল্লাহের কাছে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ১৭ এপ্রিল টিএসসি মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সেখানে অধ্যাপক রহমত উল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর এক পর্যায়ে খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতিও ‘‘শ্রদ্ধা’’ জানিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ তাৎক্ষণিকভাবে ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান এবং তা ‘এক্সপাঞ্জ’ করার দাবি জানান। পরে উপাচার্য আখতারুজ্জামান তার বক্তব্যের ওই অংশটুকু এক্সপাঞ্জ করেন।
এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরদিন ১৮ এপ্রিল অধ্যাপক রহমত উল্লাহ ক্ষমা চান। শিক্ষক সমিতি তার এ বক্তব্যের নিন্দা জানায়। ক্যাম্পাসে তার এ বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিভিন্ন সংগঠন।