ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপনা থেকে আগাম অবসর চেয়েছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সামিয়া রহমান। কয়েক সপ্তাহ আগে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদের কাছে আগাম অবসরের জন্য আবেদন করেছেন তিনি।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সামিয়া রহমান চাকরির বয়স শেষ হওয়ার একটু আগেই অবসরে যেতে চান। উনি বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন। ওনার আবেদনের কপিটি বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এখন সেটি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে সিন্ডিকেট কী সিদ্ধান্ত নেবে তার ওপর।
এদিকে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য মতে, সামিয়া রহমানের আগাম অবসর আবেদনের কপির একটি নোট উপাচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছে। উপাচার্যের সিদ্ধান্তের ওপর পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস সূত্র বলছে, সামিয়া রহমান চার মাসের অর্জিত ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে যান। এখনও তিনি দেশের বাইরেই আছেন। গত ৩১ মার্চ তার ছুটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। বিনা বেতনে আরও এক বছরের ছুটির জন্য আবেদন করেন সামিয়া। তবে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মঞ্জুর করেনি।
সামিয়া রহমান ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান। পরে তিনি সহকারী অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। তবে তার বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২১ সালের ২৯ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তাকে এক ধাপ পদাবনতি দিয়ে সহকারী অধ্যাপক করা হয়।
ওই শাস্তির সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল- ২০১৬ সালে সামিয়া ও মারজানের যৌথভাবে লেখা ‘এ নিউ ডাইমেনশন অফ কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার : এ কেস স্টাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম’ শিরোনামের আট পৃষ্ঠার একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। প্রবন্ধের প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠা ছিল ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোর ‘দ্য সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার’ নামের একটি নিবন্ধের হুবহু নকল।