ফিলিপাইনে আকস্মিক মেগি ঝড়ে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৭ জনে। স্থানীয় সময় রোববার (১০ এপ্রিল) আঘাত হানে শক্তিশালী ঝড় মেগি। বেশ কয়েকটি অঞ্চলে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে এই আকস্মিক ঝড়। ঝড়ের তাণ্ডবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১১০ জন। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বলছে, এবারের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির ১৯ লাখ মানুষ।
স্থানীয়ভাবে আগাটন নামে পরিচিত ঝড়টির গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৬৫ কিলোমিটার (৪০মাইল)। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কেন্দ্রীয় রাজ্য লেইতের বেবে শহর ও এর আশপাশের এলাকা। পিলার নামে একটি গ্রামের ৮০ শতাংশ বাড়ি সমুদ্রের পানিতে তলিয়ে গেছে। দক্ষিণাঞ্চলের দাভাও, মিন্দানাও এবং মধ্য প্রদেশ নিগ্রোস ওরিয়েন্টাল রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
দেশটির সেনাবাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। গত মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার অভিযান।
এর আগে দেশটির সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার কমান্ডার নোয়েল ভেস্তুইর দুর্ভাগ্যজনক এ ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, বহু বাড়িঘর, স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে ঝড়ের কারণে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সুপারটাইফুন রাইয়ের আঘাতের চার মাস পর আবারও মেগি ঝড়ের কবলে পড়লো ফিলিপাইন। রাইয়ের আঘাতে ফিলিপাইনে চারশোর বেশি মানুষ মারা যান এবং ক্ষতিগ্রস্ত হন পাঁচ লাখের বেশি মানুষ। জানা গেছে, প্রতিবছর ফিলিপাইন এরকম গড়ে ২০টি বড় ঝড়ের কবলে পড়ে। বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে এমন ঝড়ের আশঙ্কার কথা অনেক আগে থেকেই জানিয়ে আসছিলেন।
সূত্র: বিবিসি