৫ দিনের ছুটি নিয়ে দুই বছর চীনে লেখাপড়া-চাকরি, বরখাস্ত হলেন নার্স

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

মাত্র পাঁচ দিনের ছুটি নিয়ে দুই বছর লাপাত্তা থাকার অভিযোগে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স শাহিনুর পারভীন ওরফে রোজীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি ওই দুই বছর চীনে ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা।

গত সপ্তাহে তাকে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর থেকে বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে সই করেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সিদ্দিকা আকতার।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু মো. আলেমুল বাসার।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, শাহীনুর পারভীন ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পাঁচ দিনের ছুটি নিয়েছিলেন। এরপর দুই বছরের বেশি সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। এর মধ্যে অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতির কারণ জানতে চেয়ে একই বছরের ২ এপ্রিল তাকে চিঠি পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে ওই চিঠির কোনো জবাব তিনি দেননি। এরপর ২০১৯ সালে ৭ জুলাই কর্মস্থলে যোগদানের জন্য একটি চিঠি দেন তিনি। অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর শাহীনুর পারভীনের বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলা হয়। মামলার শুনানিতে তিনি উপস্থিত হন ২৭ অক্টোবর। শুনানিতে উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।

- বিজ্ঞাপন -

সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক কর্মকর্তা জানান, শাহীনুর পারভীন পাঁচ দিনের ছুটি নিয়ে চীনে যান। সেখানে তিনি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ ও একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। অপরদিকে তিনি দেশে নার্সের চাকরির সব সুযোগ-সুবিধাও নেন।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নার্সের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!