ইউক্রেনে আরও সামরিক সহায়তা পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনকে অতিরিক্ত ৮০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেবে তার প্রশাসন।
মূলত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে প্রত্যাশিত রুশ আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে এই সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পরে দেওয়া এক বিবৃতিতে ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে সামরিক সহায়তা পাঠানোর কথা জানান। সহায়তা প্যাকেজের অধীনে আর্টিলারি সিস্টেম, আর্টিলারি রাউন্ড, সামরিক কর্মী ক্যারিয়ার এবং হেলিকপ্টার পাঠানো হবে ইউক্রেনে।
বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, নতুন এই সহায়তার প্যাকেজে আরও বেশি কার্যকর ও ভারী অস্ত্র রয়েছে যা আমরা ইতোমধ্যেই সরবরাহ করেছি। বাইডেনের ভাষায়, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র ও অংশীদারদের সরবরাহ করা অস্ত্র রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে ইউক্রেনকে সহায়তা করবে।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।
ফলে লাখ লাখ ইউক্রেনীয় তাদের বাড়ি-ঘর থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন, প্রাণ হারিয়েছেন দেশটির বহু নাগরিক। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলার জবাব দিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় নেতাদের কাছে আরও ভারী অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের দাবি জানিয়ে আসছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
এরপরই বুধবার নতুন করে সামরিক সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ওয়াশিংটনের নতুন এই ঘোষণার ফলে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে পাঠানো মার্কিন সহায়তার মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪০০ মিলিয়ন বা ২৪০ কোটি মার্কিন ডলারে