বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম ও নবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে “কটূক্তি” করায় কৌশিক বিশ্বাস নামে (২৩) এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১১ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে মোড়েলগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে আটক করে। এর আগে ক্ষুব্ধ একদল স্থানীয় তার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। অভিযুক্ত কৌশিকের বাড়ি উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের আমরবুনিয়া গ্রামে।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা রাত সাড়ে ৯টার দিকে কৌশিকের বাড়ি ভাংচুর ও খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কৌশিক বিশ্বাস তার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি “জেহাদি তোষনকারী” থেকে ইসলাম ধর্ম ও নবী হযরত মোহাম্মদকে (স.) কটূক্তি করে পোস্ট দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে “ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের” অভিযোগে তার শাস্তির দাবীতে স্থানীয়রা মুসল্লিরা সোমবার রাতে মিছিল বের করে। এক পর্যায়ে কৌশিক বিশ্বাসের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও খড়ের গাদায় আগুন দেয় উত্তেজিত মুসল্লিরা।
এ বিষয়ে স্থানীয় নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু জানান, “ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে স্থানীয় মুসল্লিরা মিছিল শুরু করে। একপর্যায়ে তারা কৌশিক বিশ্বাসের বাড়ি-ঘরে হামলা ও ভাঙচুর করে। আমরা এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।”
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়কারী পুলিশ পরিদর্শক এস. এম আশরাফুল আলম বলেন, “কৌশিক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ফেসবুক পেইজে ধর্ম নিয়ে বেশ কয়েকটি আপত্তিকর পোস্ট এবং কমেন্ট করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে তার শাস্তির দাবিতে স্থানীয়রা সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারাবির নামাজের পর মিছিল বের করে। একপর্যায়ে মিছিলকারীরা কৌশিকের বাড়িতে ভাঙচুর ও খড়ের গাদায় অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নেয়। ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাত ১০টার দিকে ওই তরুণকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, “কৌশিক তিন বছর আগে ভারতে চলে গিয়েছিল। সাত-আট দিন আগে সে দেশে ফেরে।”