হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান নিজেদের আরেকটি বিমানের পেছনে ধাক্কা দিয়েছে। এতে দুটি বিমানই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রোববার (১০ এপ্রিল) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এতে বিমানের বোয়িং-৭৩৭ এর সামনের অংশ (নোজ) এবং বোয়িং-৭৭৭ এর পেছনের অংশ (টেইল/লেজ) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও দুর্ঘটনার তথ্য জানতে কমিটি গঠন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
সংঘর্ষের কারণে রোববার রাতের বিমানের দুবাই ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এরপর যাত্রীদের সোমবার (১১ এপ্রিল) সকালে নতুন ফ্লাইটে দুবাই পাঠানো হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কেন, কীভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটল তা তদন্তে কমিটি করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন দিলে কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিমানের হ্যাংগারের ভেতরে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।’
তবে বিমানের একজন কর্মকর্তা বলেন, একটি বোয়িং মেরামতের পর হ্যাংগারের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ভেতরে ঢুকতেই এটি আরেকটি বোয়িংয়ের পেছনে ধাক্কা দেয়।
কীভাবে ঘটনাটি ঘটল সে বিষয়ে বিমানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিমানের বোয়িং-৭৩৭ ফ্লাইটটি মালয়েশিয়া যাওয়ার পর বাংলাদেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তবে পাইলট বিমানের উইন্ডশিল্ডে (পাইলটের সামনের কাঁচ) ফাটল বা ক্র্যাক দেখতে পান। এ সময় তিনি প্লেনটি না উড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় বিমান।