যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন কেটাঞ্জি ব্রাউন জ্যাকসন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) মার্কিন সেনেট নিশ্চিত করেছে, জ্যাকসন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী বিচারপতি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে কাজ করবেন।
৫৩ জনের মধ্যে ৪৭ ভোট পেয়ে ৫১ বছর বয়সী এই ফেডারেল আপিল বিচারক দেশের শীর্ষ বিচারিক সংস্থায় আজীবন চাকরি নিশ্চিত করেন।
জ্যাকসন আদালতে ৮৩ বছর বয়সী ব্রেয়ারের পদে স্থলাভিষিক্ত হবেন বলে জানা গেছে। তবে, আদালতের বর্তমান মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ব্রেয়ার নিজের দায়িত্ব পালন করবেন এবং এ বছরের জুন মাসের শেষ দিকে জ্যাকসন আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করবেন। জ্যাকসন তার কর্মজীবনের প্রথম দিকে ব্রেয়ারের সুপ্রিম কোর্টের ক্লার্ক হিসেবে কাজ করেছিলেন।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন টেলিভিশনে ভোট দেখার জন্য জ্যাকসনকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
সেই মুহূর্তের একটি ছবি টুইটারে শেয়ার করে বাইডেন লিখেছেন, “বিচারপতি জ্যাকসনের এই জয় আমাদের জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমরা আমেরিকার বৈচিত্র্য প্রতিফলিত করার দিকে আরেকটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করছি তিনি একজন অবিশ্বাস্য ন্যায়বিচারক হবেন এবং তার সঙ্গে এই মুহূর্তটি ভাগ করে নেওয়ার জন্য আমি নিজেও সম্মানিত বোধ করছি।”
ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট বিচারক হিসেবে আট বছর দায়িত্ব পালন করার পর গত বছর জ্যাকসনকে ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া সার্কিটের জন্য ইউএস কোর্ট অব আপিলসে নিয়োগ করেছিলেন জো বাইডেন।
উল্লেখ্য, ১৭৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে যে ১১৫ জন কাজ করেছেন, তাদের মধ্যে তিনজন ছাড়া বাকি সবাই শ্বেতাঙ্গ। এদের মধ্যে মাত্র দুজন কৃষ্ণাঙ্গ বিচারক ছিলেন। একজন হচ্ছেন ক্ল্যারেন্স থমাস, যিনি ১৯৯১ সালে নিযুক্ত হয়ে এখনও দায়িত্ব পালন করছেন এবং আরেকজন থারগুড মার্শাল, তিনি ১৯৯১ সালে অবসর গ্রহণ করেন এবং ১৯৯৩ সালে মৃতু্যবরণ করেন। তারা দুজনই পুরুষ ছিলেন।
এছাড়া, বর্তমান বিচারপতি সোনিয়া সোটোমায়র একমাত্র হিস্পানিক যিনি এখন পর্যন্ত কাজ করছেন।