নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের মুখে শ্রীলঙ্কায় দেশব্যাপী অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় রবিবার দক্ষিণ এশীয় দ্বীপরাষ্ট্রটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “ব্ল্যাকআউট” বা অবরোধ আরোপ করা হয়।
কয়েক ঘণ্টার জন্য টুইটার, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামে কেউ ঢুকতে পারছিলেন না। অর্থনৈতিক সংকটের মুখে দেশজুড়ে সাধারণ জনগণের বিক্ষোভ থামাতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। সামাজিক অস্থিরতা ঠেকাতে এসব উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা মানুষের বিক্ষোভ থামাতে পারেনি।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ার সমালোচনা হচ্ছে অনেক। শ্রীলঙ্কার সাংবাদিক ফারাজ শওকতালি ডয়চে ভেলেকে বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের বাধামুক্তভাবে প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। এটা দেশের আরব বসন্তের মুহূর্ত।”
দেশটির অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলরুকশি হান্ডুনেত্তি বলেন, “গত ২০ বছরে আমরা এমন স্বাধীনতা হরণ ও খুশিমতো গ্রেপ্তারের ঘটনা দেখেছি। মানুষ শঙ্কার মধ্যে আছেন।”
আন্তর্জাতিক সংস্থা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস-এর এশিয়া প্রোগ্রাম ডিরেক্টর স্টিভেন বাটলার বলেন, “শ্রীলঙ্কা তাদের জরুরি অবস্থার সুযোগ ব্যবহার করে যেন ইতিহাসের এমন সন্ধিক্ষণে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ না করে, যখন তথ্যের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।”
এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কার স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এসটিএফ বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে। গত ৩১ মার্চ ছয় জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও অনেককে হেনস্থা করা হয়েছে। তারা সরকার বিরোধী সমাবেশ বিক্ষোভ কাভার করছিলেন।