করোনার নমুনা পরীক্ষা জালিয়াতিতে ধরা কয়েক ডজন মামলার আসামি রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম জামিন চেয়ে আদালতে বক্তব্য দিয়েছেন।
আদালতে দাঁড়িয়ে সাহেদ দাবি করেছেন, তাকে সাতক্ষীরা থেকে আটক করা হয়নি। তিনি নিজে র্যা ব সদর দপ্তরে হাজির হয়েছিলেন। এমনকি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকেও চিনতেন না।
বৃহস্পতিবার দুদকের করা মামলায় জামিন শুনানিতে আদালতে হাজির হয়ে সাহেদ এমন দাবি করেন। সাহেদকে এদিন কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। এ মামলায় জামিনে থাকা বাকি পাঁচ আসামিও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রিজেন্ট হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করেছিল দুদক। সাহেদ ছাড়া এই মামলার অন্য পাঁচ আসামির হলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, সাবেক পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ষষ্ঠ বিশেষ জজ আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষ সময়ের আবেদন করায় বিচারক শুনানি পিছিয়ে ১২ মে শুনানির দিন ধার্য করেন। সাহেদের পক্ষে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু শুনানি শেষে আদালত তা পুনরায় খারিজ করেন।
শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আদালতকে উদ্দেশ করে সাহেদ বলেন, ‘আমি আবুল কালাম আজাদ এবং অন্যদের চিনতাম না। আমাকে সাতক্ষীরা থেকে আটক করা হয়নি।’
‘আমাকে জামিন দেন। আমার পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। আমার ১৬ বছরের মেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমার স্ত্রী বাড়ির বাইরে যেতে পারে না।’
‘আমার মেয়ের সহপাঠীরা তাকে চোরের মেয়ে বলায় সে আত্মহত্যার চেষ্টা করছিল। আমার বউকে সবাই চোরের বউ বলে ডাকে।’
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সাহেদসহ পাঁচজনকে আসামি করে দুদকের মামলায় ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলায় প্রথমে স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদের নাম না এলেও তদন্তে নাম আসায় চার্জশিটে তাকে আসামি করা হয়।