রাশিয়া থেকে জ্বালানি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও, বাস্তবে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এক শীর্ষ রুশ সরকারি কর্মকর্তার বরাতে খবর দিয়েছে চীনা সংবাদমাধ্যম।
দেশটির দৈনিক গ্লোবাল টাইমস বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের তেল আমদানির এ তথ্য দিয়েছেন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি সেক্রেটারি মিখাইল পোপভ।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শুধু রাশিয়া থেকে তেল আমদানিই করছে না, গেলো এক সপ্তাহে দৈনিক অপরিশোধিত তেল আমদানি ৪৩ শতাংশ বা এক লাখ ব্যারেল বাড়িয়েছে।
মিখাইল পোপভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে এমন চমক দেবে, সেটা ইউরোপের আগেই বোঝা উচিত ছিল। কিন্তু ইউরোপ আদের সবচেয়ে বড় বন্ধুর চালাকি ধরতে পারেনি।
তিনি বলেন, শুধু তেল নয়, জরুরি পণ্য বলে রাশিয়া থেকে খনিজ সার আমদানি করতে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে অপরিণামদর্শী নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশকে ভুগতে হচ্ছে।
যেমন ব্রিটিশ শেল কোম্পানি রাশিয়া থেকে গ্যাস কিনতে পারছে না শুধুমাত্র লন্ডনের রাশিয়া-বিরোধী নীতির কারণে। রাশিয়া-বিরোধী লন্ডন নেতা হতে চায়।
এমনকি তারা এক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের চেয়ে আগে থাকতে চায়। আগ বাড়িয়ে বরিস সরকার নিষেধাজ্ঞার বান ছুটিয়েছে। যার মূল্য এখন দিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চেয়ে একধাপ এগিয়ে গ্যাজপ্রম ব্যাংকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
এ কারণে ব্রিটিশ কোম্পানিটি এখন রুবলেও রাশিয়ার গ্যাস কিনতে পারছে না। রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনার ক্ষেত্রে রুবলে মুল্য পরিশোধের যে নিয়ম চালু হয়েছে, সেটা ধীরে ধীরে অন্য পণ্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে বলে পেসকভ জানান।